ফেরি: ফুল বিক্রি চলছে ভাঙড়ের বাজারে। ছবি: সামসুল হুদা
দুর্গাপুজোয় তেমনটা হয়নি। লক্ষ্মীপুজোয় এ বার লক্ষ্মীলাভের আশায় ভাঙড়ের ফুলচাষিরা।
ফুলের মরসুমের আগে টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়েছিল গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ ফুল চাষের। এ বার দুর্গোৎসবেও বৃষ্টির কারণে ফুলের ভাল দাম পাননি চাষিরা। এ বার অতিবৃষ্টির কারণে গাঁদা, রজনীগন্ধার খেতে জল জমে গিয়ে ফুলের পচন ধরেছে। দাগও হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ফুলের যে বাজার ছিল বৃষ্টির কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে এক ধাক্কায় সেই ফুলের দাম অর্ধেক হয়ে যায়। দুর্গোৎসব মিটে যেতেই আকাশে ঝলমলে রোদ। লক্ষ্মী পুজোর আগে গাঁদা, রজনীগন্ধার খেতে নতুন কুঁড়ি ফুটেছে। আর তাই লক্ষ্মীলাভের আশায় রয়েছেন ফুলচাষিরা।
ভাঙড় ২ ব্লকের পানাপুকুর, ভুমরু, বানিয়াড়া, চিলেতলা, শানপুকুর, পোলেরহাট-সহ বিভিন্ন এলাকা এবং ভাঙড় ১ ব্লকের শাঁকশহর, চন্দনেশ্বর, বোদরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গাঁদা ফুল চাষ হয়। এ অঞ্চলের হলুদ গাঁদার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে কলকাতার বাজারে।
ভাঙড়ের পানাপুকুর গ্রামের চাষি হাফিজুর বৈদ্য লিজ নিয়ে দশ কাঠা জমিতে গাঁদার চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘জমির লিজের টাকা ও ফুল চাষ নিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। এ বার অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে জল জমে গিয়ে প্রচুর ফুলে পচন ধরে যায় এবং দাগ হয়ে যায়। যে কারণে এ বার দুর্গাপুজোর সময় ভাল বাজার পাওয়া যায়নি। লক্ষ্মী পুজোর আগে বাজারে ফুলের চাহিদা আছে। যদি ভাল বিক্রি হয় তা হলে চাষের খরচ উঠবে। লাভের মুখও দেখতে পাব। না হলে হয়তো শুধু খরচের টাকাটাই কোনও মতে উঠবে।’’
ভাঙড়ের ঘটকপুকুর বাজারের ফুল বিক্রেতা প্রদ্যোৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘লক্ষ্মী পুজোর আগে ফুলের চাহিদা রয়েছে। এক কুড়ি বা এক ঝুপি (২ হাত লম্বা ২০টি মালা) হলুদ গাঁদা ফুলের দাম ৩০০-৩৫০ টাকা, লাল গাঁদার ফুল দাম ২৫০-৩০০ টাকা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বার লাভের কিছু টাকা ঘরে তুলতে পারব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy