জল ঢুকছে গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।
পূর্নিমার কোটাল ও নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে আগেই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল সাগর ও নামখানার বিস্তৃর্ণ এলাকা। এবার বাঁধ ভাঙল সুন্দরবনের গোসাবায়। শনিবার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে প্লাবিত হল একটি গ্রাম। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঢেউয়ের ধাক্কায় বাঁধের একটি বড় অংশ ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি। বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। ভাঙন রোধে সেচ দফতরের কর্মীরা কাজ করছেন।
শনিবার ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীদাসপুরে আচমকাই হুহু করে জল ঢুকতে শুরু করে। গ্রামবাসীদের একাংশের বাড়িতে কার্যত হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। কারও আবার বাড়ি অর্ধেক জলের তলায় চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় বাসিন্দাদের মধ্যে। ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী, বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা। পরীক্ষা করে দেখা যায়, বাঁধের অন্তত ২০০ মিটার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই অংশ দুর্বল ছিল বলে ঢেউয়ের ঝাঁপটা সহ্য করতে পারেনি। জোয়ার থাকায় আরও বেশি সমস্যা তৈরি হয়। নোনা জলে ঢুকে পড়ে চাষের জমিতেও।
ভাটা শুরু হতেই সেচ দফতরের কর্মীরা কাজে নেমে পড়েন। চারটি আর্থমুভার যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মেরামতি হয়। বিধায়ক বলেন, ‘‘আপাতত জল যাতে ঢুকতে না পারে তার জন্য একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে সেখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ হবে।’’ স্থানীয় একটি স্কুলে ৭০টির মতো পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অন্য দিকে সাগরের বঙ্কিমনগরের পরিস্থিতি আরও কিছুটা অবনতি হয়েছে। বাঁধের একাধিক জায়গা দিয়ে গ্রামে জল ঢুকছে। গ্রামবাসীরা নিজের উদ্যোগে বাঁধ মেরামতির কাজে নেমেছেন। একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে। সেখানেও ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy