n নামখানার ঘাটে দাঁড়িয়ে ট্রলার। নিজস্ব চিত্র
কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে রবিবার কয়েকশো কেজি করে ইলিশ নিয়ে ফিরেছে কিছু ট্রলার। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা ইলিশের খরা কাটতে পারে বলেই মনে করছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু সোমবার নামখানা ঘাটে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে ধরা পড়ল সেই হতাশার ছবিই।
নামখানা ঘাট থেকে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। টানা কয়েক দিন সমুদ্রে মাছ ধরে ফের ঘাটে ফেরে। কিন্তু এবার সমুদ্রে মাছ না থাকায় প্রায় প্রতিদিনই খালি ট্রলার ঘাটে ফিরছে। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে ট্রলার মালিকদের লোকসানের বহর। এর জেরে আগামীদিনে ইলিশ ধরাই অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীদের একাংশের।
স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে নামখানা ঘাট থেকে বেশ কিছু ট্রলার ৩-৪ বার সমুদ্রে গিয়েছে। কিন্তু একেবারেই প্রত্যাশিত মাছ মেলেনি। সামান্য মাছ নিয়েই ফিরতে হয়েছে ট্রলারগুলিকে। ১৫ জুন থেকে মাছ ধরার অনুমতি মেলার পর এখনও পর্যন্ত তিনবার সমুদ্রে গিয়েছে এফবি জয়শ্রী ট্রলার। এ দিন নামখানা ঘাটে দাঁড়িয়ে ওই ট্রলারের মালিক হৃষিকেশ মাইতি বলেন, “তিন বার সমুদ্রে ট্রলার পাঠাতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কোনও বার এক টন, কোনও বার দু’টন মাছ মিলেছে। যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। ঠিক মতো মাছ না মিললে প্রতি যাত্রায় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ক্ষতি। জানি না এই ক্ষতি মেনে কতদিন ট্রলার পাঠাতে পারব।”
কেন দেখা নেই ইলিশের? নামখানার সাউথ সুন্দরবন ফিশারম্যান ও ফিশ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মোজাম্মেল খাঁর দাবি, এর জন্য দায়ী ট্রলি ফিশিং বা বেআইনিভাবে ছোট মাছ ধরা। তিনি বলেন, “ট্রলি ফিশিং করে এক শ্রেণির মৎস্যজীবী সমুদ্রের মাছ শেষ করে দিচ্ছে। এমন জাল ব্যবহার করা হচ্ছে, সদ্য ডিম ফোটা মাছও আটকে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশ শেষ হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy