ফাইল চিত্র।
তৃণমূলে যখন নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িক, ঠিক তখনই তাঁর মনে হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ‘দুর্নীতির আখড়া’য় পরিণত হয়েছে।
এর আগে কখনও এমন সমালোচনা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। শুক্রবার গুরুতর এমন অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই পদ ছাড়লেন, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি। দলও ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন এ দিন।
তৃণমূল তাঁর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রমাণ ছাড়াই এখন উনি দুর্নীতির কথা কেন বলছেন, তা সকলে বুঝতে পারছে।’’
দুর্নীতির কথা আগে কেন তা বলেননি?
ফিরোজের দাবি, ‘‘দলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ দলনেত্রীর বিরুদ্ধে অবশ্য সরব নন তিনি। ফিরোজের কথায়, ‘‘আমপান-ত্রাণ থেকে শুরু করে সবেতেই দুর্নীতি হচ্ছে। আর তার দায় গিয়ে পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে। অথচ তিনি এর কিছুই জানেন না।’’ তাঁর দাবি, দলের লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। দলকে জানালেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তা হলে কি বিজেপিতেই চললেন?
সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ফিরোজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাম, ডান দুটো পথই খোলা আছে। হয় তো ডান পথেই হাঁটব।’’ জেলা রাজনীতিতে ‘বাবু মাস্টার’ বলেই পরিচিতি হাসনাবাদের ডাকসাইটে এই নেতার। বাম আমলে ছিলেন সিপিএমে। সে সময়ে তৃণমূল ভুরি ভুরি অভিযোগ করত তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে বাবু অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে দ্রুত সামনের সারিতে চলে আসেন। এ বার তাঁর রাজনৈতিক গতিবিধি কোন দিকে বাঁক নেয়, সেটাই দেখার।
শুক্রবার জেলা পরিষদে এসে অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতির হাতে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। ফিরোজের কথায়, ‘‘সোনার চামচ মুখে দিয়ে রাজনীতি করতে আসেনি। এখানে আমাকে কেউ দয়া করে জায়গা দেয়নি। উপর থেকে কেউ এই জায়গায় এনে বসিয়ে দেয়নি। দলে সম্মান পাচ্ছিলাম না। গত কয়েক মাস ধরে দলের ব্যবহার মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তাই অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। দলও ছেড়ে দেব।’’ ফিরোজ কামালের দাবি, তিনি দলের জন্য প্রাণপাত করেছেন। তিনি বলেন, “আমি একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। তার পরেও আমাকে নিজের এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। দলের কারও কারও এই নির্দেশ আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন এমনটা করা হল, তা-ও জানি না। দলের উপরতলায় জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy