Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
15th Pay Commission

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঢুকল দুই জেলায়, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে কিছু সংশয়

সময়ে কাজ শেষ করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কর্তাদের কাছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, ‘ই-গ্রাম স্বরাজ পোটাল’ মাধ্যমে সমস্ত কাজের রূপরেখা, পরিকল্পনা তৈরি করা রয়েছে।

pay commission

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঢুকল দুই জেলায়। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৩
Share: Save:

দীর্ঘ দিন আটকে থাকার পরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঢুকল দুই জেলায়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দিন কয়েক আগে ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের টাকা ঢুকেছে জেলার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দু’ভাবে পাওয়া যায়। একটি টায়েড বা শর্তযুক্ত টাকা অন্যটি আনটায়েড বা শর্তবিহীন টাকা। টায়েড ফান্ডের টাকা নিকাশি ও পানীয় জলের জন্য ব্যয় করতে হয়। আনটায়েড ফান্ডের টাকায় বাকি উন্নয়নের কাজ করা যায়। আপাতত টায়েড ফান্ডের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকেছে। আনটায়েড ফান্ডের টাকাও শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার সরকারি নির্দেশ এসেছে। সময়ে কাজ শেষ করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কর্তাদের কাছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, ‘ই-গ্রাম স্বরাজ পোটাল’ মাধ্যমে সমস্ত কাজের রূপরেখা, পরিকল্পনা তৈরি করা রয়েছে। ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা এ বার অনেকটা দেরিতেই ঢুকেছে। টায়েড ফান্ডের টাকায় আমরা পানীয় জল, নিকাশি নালার কাজ করব। ইতিমধ্যে কাজের পরিকল্পনা এবং টেন্ডার হয়ে গিয়েছে।’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করে সমস্ত কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। আমরা দ্রুত ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করে দেব। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’’

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘আগে থেকে প্রকল্প নির্দিষ্ট করা ছিল। টাকা ঢুকতেই আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করতে পারব।’’ তবে মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রশাসনের একাংশে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে পাওয়া টাকাই এখনও একাধিক জায়গায় সম্পূর্ণ খরচ হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, গত আর্থিক বর্ষের টাকাই সেখানে সম্পূর্ণ খরচ হয়নি, সেখানে কী ভাবে এত দ্রুত ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে পাওয়া টাকা খরচ করা সম্ভব!

প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত বছর মে-জুন মাসে টাকা পাওয়া গেলে সময় মতো কাজ শেষ করা যেত। এখন মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ না হলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় পঞ্চায়েতগুলি ভাল কাজ করলে পারফরম্যান্স গ্র্যান্ট পেয়ে থাকে। সে জন্য বিভিন্ন নির্ধারক আছে। ওই পুরস্কার মূল্য ৫-১৫ লক্ষ টাকা। দেরি করে টাকা ঢোকায় পঞ্চায়েতগুলি ওই টাকা পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হতে পারে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

15th Pay Commission Panchayat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy