শুকনো: এই অবস্থা হয়েছে নিকাশি খালের। নিজস্ব চিত্র।
সেতু নির্মাণের জন্য নিকাশি খালের মুখে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে খালে জল ঢুকতে না পারায় সঙ্কটে চাষি। বোরো চাষের ভরা মরসুমে জল সরবরাহের দাবি নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বাসিন্দাদের অভিযোগ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীর সংযোগ খাল ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে মন্দিরবাজার হয়ে মথুরাপুর পর্যন্ত। ডায়মন্ড হারবার-রায়দিঘি রোড়ের যাতায়াতের রাস্তায় উস্তির একতারা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০-৪০ ফুট লম্বা সেতু রয়েছে। বহু বছরের পুরনো ওই সেতুটি মাস ছ’য়েক আগে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়। বেশ কিছু দিন ধরে বাস বা ভারী যান পারাপার বন্ধ করে পূর্ত দফতর। বর্তমানে সেতুটি কোনও ভাবে সংস্কার করে গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণের খাল ভরাট করে পাশ দিয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সে জন্য ওই সেতুর পাশে সরকারি জমিতে ৪টি বাড়ি ও দোকানঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর ওই অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হওয়ার পরেই সেতুটি পুরো ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে বলে জানান বলে হয়েছে। নতুন রাস্তা তৈরির কাজ মাস দু’য়েক আগে শুরু হয়েছে।
এ দিকে, খালের মাটি ফেলে ভরাট করে দেওয়ায় জল পৌঁছচ্ছে না মন্দিরবাজার ও মথুরাপুর ১ ব্লকের খালগুলিতে। ওই এলাকায় এই শীতের মরসুমে মাঠের পর মাঠ বোরো ধান ও নানা আনাজপাতির চাষ হয়। নিকাশি খাল বন্ধ থাকায় জলের অভাবে সঙ্কটে পড়েছেন হাজার হাজার চাষি।
মন্দিরবাজার এলাকার সিপিএমের নেতা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘এই এলাকার হরিণডাঙা, জগদীশপুর, বিদ্যাধরপুর, মণ্ডপতলা গ্রাম-সহ ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ বোরো ধানের চাষ ও আনাজ চাষের উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু খালে জল না ঢোকায় চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। জল সরবরাহের দাবি নিয়ে ক’দিন আগে মন্দিরবাজার বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।’’ মথুরাপুর ১ ব্লকের সিপিএম নেতা সামসুদ্দিন খাঁয়ের অভিযোগ, মথুরাপুর থেকে মন্দিরবাজারের দিকে প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার খালে জল নেই। তাতে হাজার হাজার চাষি সমস্যায় পড়েছেন। এখানে বোরো চাষের পাশাপাশি আনাজ চাষ হয়। তাঁর দাবি, একতারার মোড়ের কাছে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে খালের নিকাশি পথ বন্ধ করে দেওয়ায় এই বিপত্তি। জল নিকাশি স্বাভাবিক করতে মহকুমা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বলে জানালেন ওই সিপিএম নেতা।
ওই এলাকার সন্তোষনগর গ্রামের চাষি নুর আলি মোল্লা, সাজিরুল মণ্ডলদের অভিযোগ, হাজার হাজার টাকা কৃষি ঋণ নিয়ে ৫-৭ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন।
কিন্ত জলের অভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। দূরের কোনও পুকুর থেকে জল দিতে হচ্ছে। মথুরাপুর এলাকায় বোরো চাষি নুর আলি মোল্লা, সাজিরুল মোল্লাদের অভিযোগ, নিকাশি খালের জল না থাকায় ব্যক্তি মালিকানার পুকুর থেকে জল কিনতে হচ্ছে। সেখানে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। জলের অভাবে চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, জল সরবরাহের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy