Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বেঁচেই আছি, ফোনে জানান বৃদ্ধ প্রভাস

ঝিলা নদীর এক পাড়ে সুন্দরবনের জঙ্গল। অন্য পাড়ে কুমিরমারি গ্রাম।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সামসুল হুদা 
ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৫
Share: Save:

রবীন্দ্রকাহিনির নারী চরিত্রটিকে ‘মরিয়া প্রমাণ করিতে হইয়াছিল’ তিনি মরেননি। আর গোসাবা অঞ্চলের বৃদ্ধ ফোন করে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, তিনি বেঁচে আছেন!

গোসাবার কুমিরমারি গ্রামে থাকেন সত্তরোর্ধ্ব প্রভাস মণ্ডল। সরকারি খাতায় ‘মৃত’ বলে বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বছরখানেক ধরে। প্রশাসনের দরজায় হত্যে দিয়েও লাভ হয়নি। এ বার ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে প্রভাস জানালেন, ‘‘কর্তা বেঁচে যে আছি, তা আর কী ভাবে প্রমাণ দেব বলুন দেখি!’’

ঝিলা নদীর এক পাড়ে সুন্দরবনের জঙ্গল। অন্য পাড়ে কুমিরমারি গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস নদীতে মিন ধরেন। কোনও মতে সংসার চলে। জলজ্যান্ত এমন মানুষটিকে সরকার বাহাদুর খাতায়-কলমে ‘মৃত’ বলে দেগে দেওয়ায় তাঁর বার্ধক্য ভাতা বন্ধ বছরখানেক ধরে। এই অবস্থায় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন বৃদ্ধ।

সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কুমিরমারি গ্রামে যান বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। প্রভাস সমস্যার কথা জানান। বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও সুরাহা হয়নি। সরকারি খাতায় আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কী ভাবে হল, বুঝতে পারছি না। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্যও বলেছি।’’

দিদিকে বলেও অবশ্য সুরাহা এখনও হয়নি। প্রভাস বলেন, ‘‘অভাবের সংসার। বৃদ্ধ বয়সে বার্ধক্য ভাতাই ছিল সম্বল। সেটা বন্ধ। সংসার প্রায় না চলার মতো অবস্থা।’’

বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, ‘‘কম্পিউটার থেকে প্রভাসের নাম কোনও ভাবে ডিলিট হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি আমি জেলায় জানিয়েছি। ইতিমধ্যে সরকারি বিভিন্ন অনুদানের সুযোগ-সুবিধা তিনি যাতে পান, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Elderly Man Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE