Advertisement
E-Paper

বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল ইডি, বসিরহাটের বাড়িতেও হানা

মঙ্গলবার ভোরে বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়িতে প্রবেশ করে দুপুর ২টো ২০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

ED comes out of house of Barik Biswas after raiding for nine hours in connection with alleged ration scam

(বাঁ দিকে) আবদুল বারিক বিশ্বাস, সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়ি (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৮
Share
Save

আবদুল বারিক বিশ্বাসের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে মঙ্গলবার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর বসিরহাটের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বেরিয়ে যান ইডির আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার ভোরে বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়িতে প্রবেশ করে দুপুর ২টো ২০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে আসেন তাঁরা। বারিকের রাইসমিলে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, রেশন দু্র্নীতি মামলার তদন্তে বারিকের বসিরহাটের বাড়ি এবং রাজারহাটের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তাঁরা।

সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত এই বারিক। সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়ির কাছে রয়েছে তাঁর চালকল। মঙ্গলবার দু’জায়গাতেই চলে অভিযান। পাশাপাশি, রাজারহাটের ফ্ল্যাটেও চলেছে অভিযান। সন্দেশখালি, বনগাঁর অভিজ্ঞতার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে বারিকের বাড়ি এবং চালকলে হানা দেয় ইডি।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, বারিকের এখন ব্যবসা রয়েছে। এক কালে তিনি ছিলেন ট্রাকচালক। অভিযোগ, সেই সময় গরু পাচারের কাজে ব্যবহৃত হত বসিরহাটের একাধিক ‘করিডর’। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে শুরু করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে চলত পাচারের কারবার। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ট্রাক চালানোর সুবাদেই পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল তাঁর। কোথা থেকে গরু আনা হত, কোথা থেকে সীমান্ত পার করতে হত, বাংলাদেশে কারা সেই গরু কিনতেন, সীমান্তে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হত, সে সব তথ্য জেনে নিয়েছিলেন বারিক। ওই সূত্রের দাবি, এর পর নিজের ‘সাম্রাজ্য’ তৈরির প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। অভিযোগ, এক সময়ে শুধু বসিরহাট বা বনগাঁ এলাকাতেই নয়, গোটা রাজ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারের কারবারে প্রভাব বিস্তার করেন বারিক।

বারিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৫ সালে প্রচুর সোনা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। কয়েক বছরের জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান। সূত্রের খবর, জেল থেকে বেরিয়ে পাচারের বদলে একাধিক ব্যবসা শুরু করেন বারিক। ইটভাটা, কয়লা, ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন। ওই সূত্রের দাবি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু করেন তিনি। এর পর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় বারিকের। অভিযোগ, সেই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের দাবি, সেই সময়ে জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ তৈরি হয় বারিকের।

Ration Scam Jyotipriya Mallick

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}