হরি দাস।
আবারও ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার এক শ্রমিকের। মৃতের নাম হরি দাস (৪৮)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের লট ৮ কালীনগরের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে কেরলে মাছ ধরার কাজে গিয়েছিলেন হরি। সেখানে কল্লম এলাকার শক্তিকুলাঙ্গারা বন্দরে একটি ট্রলারে মাছ ধরার কাজ করতেন। শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে ট্রলারে ঘুমিয়েছিলেন। রবিবার সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে শুরু হয় তল্লাশি। বিকেলে নদী থেকে দেহ উদ্ধার হয়। সহকর্মীদের অনুমান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রলার থেকে পড়ে যান হরি। দেহ ময়না তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছয় দেহ।
হরির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে। হরি ছিলেন প্রধান রোজগেরে সদস্য। আর্থিক অনটন মেটাতে বেশ কয়েক বছর ধরে কেরলে মৎস্যজীবীর কাজ করছিলেন। হরির একমাত্র ছেলে রাজীব এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তার কথায়, “শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। বলেছিল, ভাল করে পরীক্ষা দিতে। হঠাৎ বাবা চলে গেল। বাবার কথা রাখার চেষ্টা করব।”
স্ত্রী সন্ধ্যা দাস বলেন, “এখানে কাজ না পেয়ে বাইরে গিয়েছিল। সংসারটা ভেসে গেল। কী ভাবে চলবে জানি না। ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করাব কী করে!”
কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের পাশে আমরা আছি। প্রশাসনকে বলেছি, কিছু সাহায্য করার জন্য। এ ছাড়া, কেরল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
দিন কয়েক আগে পাথরপ্রতিমার জি-প্লট পঞ্চায়েতের কৃষ্ণদাসপুর এলাকার বাসিন্দা সহদেব গিরির মৃত্যু হয় কেরলে। তিনিও মাছ ধরার কাজে গিয়েছিলেন। নৌকো থেকে পড়ে মারা যান। পরিবারের তরফে অবশ্য খুনের অভিযোগ তোলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy