Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Sundarbans

সুন্দরবনে কলাকেন্দ্র তৈরি করতে চায় ডেনমার্ক

জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র নামে একটি বেসরকারি সংস্থা বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন নামে একটি স্কুল চালায় এই এলাকায়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী  শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩৩
Share: Save:

সুন্দরবনের কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে ডেনমার্কের কৃষ্টি-সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে ডেনমার্ক সরকার। সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে সুন্দরবনের জয়গোপালপুর গ্রামে তৈরি হতে চলছে কলাকেন্দ্র। উন্নত প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ডেনমার্কের তথ্য সম্প্রচার দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক বেন্টি উলফ। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালেই জয়গোপালপুর গ্রামে তৈরি হবে এই কলাকেন্দ্র।

সম্প্রতি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম বাসন্তীর জয়গোপালপুরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও দেশপ্রেম উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন বেন্টি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুন্দরবনের কৃষ্টি, সংস্কৃতি যে তাঁকে মুগ্ধ করেছে, সে কথা জানান তিনি। তারপরেই ঘোষণা করেন, এই প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই এলাকার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে তাঁদের সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সুন্দরবন এলাকার নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি যেমন মাঝিমাল্লার গান, আদিবাসী কৃষ্টি, সংস্কৃত, ঝুমুর, টুসু যেমন রয়েছে তেমনই বিভিন্ন ধরনের মঙ্গলকাব্যও বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় এই এলাকায়। সেগুলিকে প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমান সমাজের সামনে তুলে ধরে আরও জনপ্রিয় করতে চাই আমরা। সে কারণে এখানে কলাকেন্দ্র তৈরির চিন্তা-ভাবনা হয়েছে।”

জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র নামে একটি বেসরকারি সংস্থা বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন নামে একটি স্কুল চালায় এই এলাকায়। মূলত সুন্দরবন এলাকার বাঘে, কুমিরে আক্রান্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে এবং অনাথ পরিবারের সন্তানেরাই এই স্কুলে পড়াশোনা করে। এদের মধ্যে ১২ জন পড়ুয়াকে ২০১৮ সালে ডেনমার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে এই পড়ুয়ারা সুন্দরবনের কৃষ্টি-সংস্কৃতির আদানপ্রদান করে ডেনমার্কের স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে সুন্দরবনের নিজস্ব মাঝিমাল্লার গান, টুসু ভাদু পরিবেশন করেন ডেনমার্কের বিভিন্ন এলাকায়।

সেই থেকেই এই এলাকার সঙ্গে সাংস্কৃতিক যোগ তৈরি হয় ডেনমার্কের। সেই সূত্রেই জয়গোপালপুরে গড়ে উঠতে চলেছে কলাকেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে তিন মাসের একটি কর্মশালা হবে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে। সেখান থেকেই পড়ুয়াদের বাছাই করে এই কলাকেন্দ্রে সুযোগ দেওয়া হবে।

জয়গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মহাকুড় বলেন, ‘‘এটা সুন্দরবনের ছেলেমেয়েদের জন্য বড় প্রাপ্তি। এক দিকে যেমন সুন্দরবনের কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে তারা পরিচিত হতে পারবে আরও বেশি করে, তেমনই বিদেশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও শিখতে পারবে। যা দিয়ে ভবিষ্যতে তারা নিজেদের কর্মজীবনকে আরও মজবুত করতে পারবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Denmark Culture
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy