সমুদ্রের জলে ভেসে গিয়েছে ফ্রেজার সাহেবের বাংলো। নিজস্ব চিত্র
আমপান-এর ধাক্কা সহ্য করেও কিছুটা টিকে ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের বিখ্যাত ফ্রেজার সাহেবের বাংলো। কিন্তু ইয়াস-এর ধাক্কা আর সহ্য হল না। সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে গেল ফ্রেজারগঞ্জে বাংলার লেফটেনেন্ট গভর্নর অ্যান্ড্রু ফ্রেজার (১৯০৩-১৯০৮)-এর তৈরি করা ঐতিহাসিক সেই বাংলো। ইয়াস-এর ধাক্কা সামলে এখন টিকে রয়েছে বাংলোর অতিথিশালার অংশবিশেষ।
বকখালির কাছেই ফ্রেজারগঞ্জ। যেখানে পা রাখলে শতাব্দী প্রাচীন ফ্রেজার সাহেবের বাংলো দেখতেই ভিড় জমাতেন পর্যটকরা। আক্ষরিক অর্থেই অনেক ঝড়ঝাপটা সহ্য করে টিকে ছিল বাংলোটির কিছু অংশ। কিন্তু বুধবার ইয়াস গিলে খেল সেই ঐতিহাসিক প্রাসাদের বাকিটা। সমুদ্রের ঢেউয়ের দাপটে ফ্রেজার সাহেবের বাংলোর অবশিষ্ট অংশটুকুও মিলিয়ে গেল সমুদ্রের গর্ভে।
এক দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, অন্য দিকে পূর্ণিমার কটালের জেরে বুধবার সুন্দরবনের নদী এবং সমুদ্রে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়৷ বাঁধ উপচে নোনা জলে প্লাবিত হয় নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর, অমরাবতী, হাতি কর্নার, দাস কর্নার এলাকাগুলি৷ এমনিতেই ফ্রেজার সাহেবের বাংলোর অবশিষ্ট বলতে ছিল কয়েকটা ভাঙা স্তম্ভ। শেষ পর্যন্ত ইয়াস-এর তাণ্ডব সহ্য করতে পারল না সেই স্তম্ভগুলি। টিকে রয়েছে বাংলোটির অতিথিশালার ভগ্নাবশেষ।
ফ্রেজারগঞ্জের বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক অমল জানা বললেন, ‘‘ইতিহাসের স্বাক্ষ্য বহনকারী এই দর্শনীয় প্রাসাদ সমুদ্রে বিলীন হয়ে গেল৷ এখন কেবলমাত্র জায়গাটার নামের সঙ্গেই জড়িয়ে রইল ফ্রেজার সাহেবের স্মৃতি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy