প্রতীকী ছবি
সরকারি অনুষ্ঠানে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধল হাড়োয়ার আটপুকুর পঞ্চায়েতের উচিলদহ গ্রামে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনায় উভয়পক্ষের জনা পনেরো জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের মহিলা সদস্য এবং মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও আছেন। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে এক সাংবাদিককে মারধর করে মোবাইল, ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। দু’পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় টহল চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে হাড়োয়ায় আমপানে ক্ষতিপূরণকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে গোলমাল বাধছে। গুলি-বোমা ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। পুলিশ জানায়, এ দিন উচিলদহ গ্রামে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে পশু চিকিৎসার জন্য শিবির হয়। বেলা ১২টা নাগাদ এক দলের পক্ষে ওই শিবিরে দলের পতাকা টাঙানোর চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। অন্য পক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়।
পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পদ্মাবতি মিস্ত্রি দাস এবং মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ দাস আহত হন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে আটপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মানস মাহাতো বলেন, ‘‘ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে সরকারি ভাবে পশু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ বিজেপি কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে ওই শিবিরে দলীয় পতাকা তোলার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। ওদের হাতে আমাদের দুই নেতা-নেত্রী সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন’’ বিজেপির জেলা নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ফাঁসাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে এসেছিল। প্রতিবাদ করায় দলীয় কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।’’
পঞ্চায়েতের বিরোধী নেত্রী সহ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিরুদ্ধে। জখম অবস্থায় দু’জন বিজেপি কর্মীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ব্লকের ঘাটবাওর পঞ্চায়েতে। তৃণমূল পক্ষ থেকেও তাঁদের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy