গাছের শুকনো ডাল শনাক্ত করার কাজ চলছে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশে থাকা প্রাচীন গাছের শুকনো, মরা, বিপজ্জনক ডাল কাটতে নতুন করে পদক্ষেপ করল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বনগাঁ শহর এলাকা থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং বনগাঁ পুরসভার প্রতিনিধিরা যৌথ ভাবে গাছের মরা ও শুকনো ডালগুলি শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছেন। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, ‘‘গাছের মরা, শুকনো ডাল শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই কাটার ব্যবস্থা করা হবে। এই বিষয়ে বন দফতরের অনুমতি নেওয়া হবে।’’
দিন কয়েক আগে গাছের পেল্লায় ডাল ভেঙে ট্রাকের উপরে পড়ে বনগাঁ-চাকদহ সড়কে মৃত্যু হয় ট্রাক চালক যুবকের। ওই ঘটনার পরে দাবি উঠেছিল, যশোর রোডের দু’পাশে থাকা বহু বছরের পুরনো গাছগুলির মরা এবং শুকনো-বিপজ্জনক ডাল কেটে ফেলা হোক। বনগাঁ পুরসভার পক্ষ থেকে শুকনো ডাল কাটার আবেদন জানানো হয়েছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
গোপাল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে যশোর রোডে বেশ কিছু গাছে শুকনো, মরা ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে তা ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিন থেকে শুকনো ডাল শনাক্তকরণ শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গাছ কাটা বন্ধ আছে। তবে শুকনো, মরা ডাল কাটা যাবে বলে জানতে পেরেছি। আমরা গাছ বাঁচিয়ে বিপজ্জনক শুকনো ডাল কেটে গাছের পরিচর্যা করতে চাই।’’
যশোর রোডে বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথে কিছু শুকনো, মরা ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে বলে অভিযোগ। ওই পথে এর আগে বহুবার গাছের ডাল ভেঙে মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। জখম হয়েছেন অনেকে। দুর্ঘটনার পরে শুকনো ডাল কাটার দাবি তুলে পথ অবরোধও করেছেন মানুষ। অতীতে কিছু ডাল কাটাও হয়েছিল। অভিযোগ, নিয়মিত ভাবে শুকনো ডাল কাটা হয় না বলেই বার বার ঘটে দুর্ঘটনা। যান চালকেরা অনেকে জানালেন, ঝড়-বৃষ্টির সময়ে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়।’’
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অতীতে দেখা গিয়েছে, শুকনো ডাল কাটার নামে জ্যান্ত ডাল বা গাছও কেটে ফেলা হয়েছে। এ বার সে দিকে যেন কর্তৃপক্ষ নজর রাখেন।
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর বনগাঁ শাখার সম্পাদক অজয় মজুমদার বলেন, ‘‘গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ মানে গাছের পরিচর্যা করা যাবে না, এটা কখনই নয়। এর আগে দত্তপুকুর এলাকায় মরা, শুকনো ডাল কাটার নির্দেশ হয়েছিল। সেই সুযোগে প্রায় পুরো গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাতে প্রতিবাদ করার পরে হাইকোর্ট মৌখিক ভাবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট ভাবে নিয়মিত গাছের শুকনো, মরা ডাল কেটে পরিচর্যার নির্দেশ দিয়েছিল।’’ বিপজ্জনক শুকনো ডাল কাটতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন অজয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy