প্রমোদতরী গঙ্গাসাগরে। —নিজস্ব চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার থেকে গঙ্গাসাগর মেলা যেতে হলে সড়কপথে লাগবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সময়। এ বার তার প্রায় অর্ধেক সময়েই যাত্রীদের জলপথে মেলায় পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল ক্রুজ পরিষেবা। বুধবার থেকেই ডায়মন্ড হারবার জেটি থেকে সাগর পর্যন্ত এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। তাই এ বারের গঙ্গাসাগর মেলা যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে উঠে পড়তেই পারেন বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে।
গঙ্গাসাগর মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতে প্রতি বছরই আলাদা আলাদা করে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। এ বার অভিষেকের কেন্দ্র থেকে পুরসভার উদ্যোগে শুরু হচ্ছে প্রমোদতরীতে গঙ্গামেলা যাওয়া-আসার সুযোগ। এ জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে সপ্তাহে তিন দিন যাতায়াত করবে এই বিলাসবহুল প্রমোদতরী। শুক্র, শনি এবং রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ডায়মন্ডহারবার জেটিঘাট থেকে রওনা দেবে ক্রুজ। বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ আবার কচুবেড়িয়া থেকে ডায়মন্ডহারবার ফিরে আসবে ওই জলযান।
সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ক্রুজে ক্লাসিক ও প্রিমিয়াম পরিষেবা পাওয়া যাবে। ভাড়া পড়বে যথাক্রমে ৫৩০ এবং ৬৩০ টাকা। তবে সঙ্গে যদি জলখাবার খেতে চান অতিরিক্ত ৯৯ টাকা খরচ করতে হবে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও মিলবে ক্রুজের টিকিট। অনলাইন টিকিট কাটতে গেলে ঢুঁ দিতে হবে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার নিজস্ব ওয়েবসাইটে। যে বেসরকারি সংস্থা এই ক্রুজ চালানোর দায়িত্বে রয়েছে, তারা জানাচ্ছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অনলাইনে ক্রুজের টিকিট কাটা যাবে। জেটিতে গিয়েও টিকিট কাটতে পারেন। জলপথে দু’ঘণ্টার বিলাসবহুল ভ্রমণে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা।
পাশাপাশি সুরক্ষার ব্যাপারেও বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। সংস্থার তরফে শঙ্খদীপ দাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সড়কপথে ডায়মন্ড হারবার থেকে গঙ্গাসাগর যেতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। তার পর বাস বা অন্যান্য গণ পরিবহণে ভিড় আছে। ট্র্যাফিক জ্যাম রয়েছে। সেই একই দূরত্ব দু’ঘণ্টার মধ্যে পার করতে পারবেন। উপরন্তু, জলপথে ভ্রমণের দারুণ অভিজ্ঞতার গ্যারান্টি। পুরো ক্রুজটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তাই যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকেও এগিয়ে আছে রয়েছে আমাদের পরিষেবা।’’ তিনি আরও জানান, ক্রুজে থাকছে চা-কফি এবং স্ন্যাক্সের স্টল। যাত্রীরা চাইলে সেখান থেকে কিনে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। আত্মবিশ্বাসের সুরে শঙ্খদীপ বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলার আগে এমন একটি পরিষেবা দর্শনার্থীদের আলাদা করে আকর্ষণ করবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy