রোদের তেজ বাড়ছে। হাসপাতালে ভিড়ও কম হচ্ছে না। কিন্তু জল কই!
সাব-মার্সিবল পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় পাঁচ দিন ধরে পানীয় জল মিলছে না বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এমনকি, হাসপাতালের শৌচাগারের জলও অমিল। শুধু রোগী বা তাঁদের পরিজনেরাই নন, দুর্ভোগে পড়ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। বাধ্য হতে অনেকে জল কিনছেন। পরিস্থিতি কবে পাল্টাবে, ভেবে পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক অপলা সরকার বলেন, ‘‘সাব-মার্সিবল পাম্পটি খারাপ হওয়ায় বাইরে থেকে হাসপাতালের ট্যাঙ্কে পাইপের মাধ্যমে জল এনে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ সমস্যার কথা মেনে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েনের আশ্বাস, ‘‘দু’এক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
বসিরহাট ২ ব্লকের বাসিন্দাদের চিকিৎসায় বড় ভরসা ওই গ্রামীণ হাসপাতাল। প্রতিদিন কয়েকশো রোগী আসেন বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে। হাসপাতালে অন্তর্বিভাগের ৩০টি শয্যাও প্রায়ই ভর্তি থাকে। ফলে, জলের মতো জরুরি পরিষেবা কেন, তার দিন ধরে বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক এ টি এম আব্দুল্লা রনি বলেন, ‘‘জল সমস্যার বিষয়টি দ্রুত সুরাহার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একাধিকবার জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। অসুস্থ মানুষদের কী করুণ অবস্থা!’’
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে চড়া দামে হাসপাতালের সামনে জল বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। এ জন্য ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন রোগীরা। তাঁদের মধ্যে স্বপন ঢালি, সাকিনা বিবি নামে চিকিৎসা করাতে আসা দু’জন বলেন, ‘‘জল না থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। হাসপাতালে জল নেই। শৌচাগারেও যেতে পারছেন না রোগীরা।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)