Advertisement
E-Paper

বেহাল রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে, জাল ফেলে প্রতিবাদ

চন্দনপিড়ি গ্রাম ও দ্বারিকনগর গ্রামের প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।

জাল ফেলা হয়েছে রাস্তায়। ছবি: সমরেশ মণ্ডল 

জাল ফেলা হয়েছে রাস্তায়। ছবি: সমরেশ মণ্ডল 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:২০
Share
Save

নামখানার দ্বারিকনগর হাসপাতাল মোড় থেকে হরিপুর খেয়া ঘাটের রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় আন্দোলন করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার বিকেলে নামখানার চন্দনপিড়ি এলাকার ঘটনা। বেহাল রাস্তায় জমা জলের উপরে মাছ ধরার জাল ফেলে, ধানের চারা রোপণ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে কর্মসূচি।

চন্দনপিড়ি গ্রাম ও দ্বারিকনগর গ্রামের প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। বেশিরভাগ জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তায় সাইকেল, বাইক চালিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, হেঁটেও ঠিক মতো যাতায়াত করা যাচ্ছে না। তার উপরে একপশলা বৃষ্টি হলে প্রায় হাঁটুসমান জল জমে যায়।

এই রাস্তার পাশে দু’টি উচ্চ মাধ্যমিক ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়ে প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হয় বলে অভিযোগ। এই রাস্তা ধরে যেতে হয় দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় রোগীকে নিয়ে যেতে খুবই সমস্যা হয়। প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২-০৩ আর্থিক বর্ষে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছিল। রাস্তা মেরামতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডিআরডিসি-তে এখন আর টাকা দিচ্ছে না। তাই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

নামখানা ব্লক সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সজল ঘোড়ুই বলেন, ‘‘রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তাই আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি।’’

নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা না দেওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে রাস্তাটি মেরামতির জন্য জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

namkhana

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}