প্রতীকী ছবি।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান রক্তক্ষরণ রুখতে ছাত্র-যুবদের উপরে ভরসা করছে সিপিএম। আর সে কারণেই দলে আরও বেশি করে তরুণ প্রজন্মকে টানতে পদক্ষেপ করা হয়েছে সিপিএমের অশোকনগর শহর এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করার কাজ চলছিল অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায়। এ বার ছাত্র-যুবকদের নিয়ে বাইক মিছিল করল সিপিএম। রবিবার সকালে স্থানীয় কচুয়ামোড় এলাকা থেকে মিছিল বের হয়। পুরসভা এলাকার প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করেন ছাত্র-যুবরা। সিপিএমের অশোকনগর এরিয়া কমিটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ দিনের বাইক মিছিল করা হয়েছিল ২৬ নভেম্বর দেশ জুড়ে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়ে। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে কতটা কর্মসূচিতে আনা সম্ভব হচ্ছে, তা-ও দেখে নেওয়া হল বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
দলের অশোকনগর শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সত্যসেবী করের দাবি, ‘‘এ দিনের মিছিলে প্রায় ৩০০ বাইক ছিল। প্রতি বাইকে দু’জন করে ছিলেন। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। আমরা আশা করেছিল ১৭৫-২০০ বাইক আসছে। সেটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এ দিনের মিছিলে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের ৩০-৪০ শতাংশ তরুণ প্রজন্মের নতুন মুখ।’’ লোকসভা ভোটের আগেও শহরে ছাত্র যুবকদের নিয়ে মিছিল করা হয়েছিল। এ দিনের মিছিলের অর্ধেক ভিড়ও ছিল না। সত্যসেবী বলেন, ‘‘সে সময়ে তরুণ প্রজন্ম দোলাচলে ছিল। আমাদের কথা তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়েছিল। এখন তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতায় কেন্দ্র-রাজ্যের জনবিরোধী নীতি সম্পর্কে বুঝতে পারছেন। সে কারণে অনেকেই আমাদের সঙ্গে আসছেন।’’ এ দিন মিছিলে সামিল কয়েকজন জানালেন, করোনা, আমপান, লকডাউনের সময়ে সিপিএমের যুবকর্মীদের মানুষের জন্য কাজ করতে দেখেছেন তাঁরা। সিপিএম তথা বামেদের একদা শক্ত ঘাঁটি অশোকনগর শহর। ১৯৮১ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত এখানে পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল বামপন্থীরা। ২০১৫ সালের পুরসভার ভোটে ২৩টি আসনের মধ্যে সিপিএম পেয়েছিল ৫টি আসন। লোকসভা ভোটে তারা ওই পাঁচটি আসনেও পিছিয়ে ছিল। তারপর থেকে নতুন উদ্যোমে শুরু হয়েছে ঘর গোছানোর কাজ। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক তৃণমূল। এ দিন বাইক মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, ‘‘দেখলাম, মিছিলে ২৫-৩০টা বাইক ছিল। দু’জন করে হলেও ৬০ জন। মাঝে সিপিএমের একটি পথসভায় দেখলাম ৭ জন উপস্থিত। সিপিএম এখানে বিধানসভা ভোটে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। ওঁদের মানুষ দূরে সরিয়ে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy