Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

পরিযায়ী শ্রমিকের হাত ধরে সংক্রমণ পৌঁছল গঙ্গাসাগরে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ মে এক মহিলা ও শিশুসহ সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাগর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৫:৫১
Share: Save:

শনিবার রাতে তামিলনাড়ু থেকে সাগরে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। সাগর ব্লক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ মে ওই শ্রমিক গঙ্গাসাগরে আসেন। তাঁকে হরিণবাড়ি কোয়রান্টিন শিবিরে রাখা হয়েছিল। ৩১ মে তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়। গঙ্গাসাগরে আসার পর থেকেই সর্দি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ওই শ্রমিকের। শনিবার রাতেই করোনা আক্রান্ত ওই পরিযায়ী পরিযায়ী শ্রমিককে প্রথমে কাকদ্বীপ হাসপাতাল, পরে অধীনস্থ রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ মে এক মহিলা ও শিশুসহ সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। ওই মহিলা ও শিশুরও সর্দি ও জ্বরের উপসর্গ রয়েছে। তাঁদের সাগর ব্লক হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

সাগর ব্লক হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর থেকে কাকদ্বীপের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ওই শ্রমিককে পাঠাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়। কারণ, জেলায় করোনা আক্রান্তদের বহন করার জন্য তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। কয়েক দিন আগে একটি অ্যাম্বুল্যান্স বিকল হয়ে যায়। এখন দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স কাজ করছে। শনিবার মগরাহাট ও রায়দিঘি এলাকায় আরও দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই দুই আক্রান্তের সঙ্গে গঙ্গাসাগরের পরিযায়ী শ্রমিককে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকেরা।

সাগর ব্লক হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ, গভীর রাতে আক্রান্তকে কাকদ্বীপ হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়নি। পরে নগদ দু’হাজার টাকা ভাড়ায় একটি বেসরকারি লঞ্চে ওই আক্রান্তকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে কাকদ্বীপ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি ও বাঁধ মেরামতির কারণে সব লঞ্চ দূরে ছিল। সে কারণেই গভীর রাতে চটজলদি গঙ্গাসাগর এলাকায় পৌঁছতে পারেনি।

সাগর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরে ১৯টি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Sagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy