Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ব্যারাকপুরে ১৪ দিন ঘরবন্দি গোটা পাড়া

পুর প্রধান জানান, ওই পাড়ার সব পরিবারকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে আনাজ পৌঁছে দেবে পুরসভা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৫১
Share: Save:

সংক্রমিত হয়েছিলেন এক জন। তাঁর জন্য কোয়রান্টিনে পাঠানো হল ৮৬ জনকে! গৃহ-পর্যবেক্ষণে রাখা হল গোটা পাড়াকে। ব্যারাকপুরের নোনাচন্দনপুকুরে ওই পাড়ার বাসিন্দাদের ১৪ দিন বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে পুরসভা। অন্য দিকে, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাকে দু’টি জ়োনে ভাগ করে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন।

নোনাচন্দনপুকুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী। ব্যারাকপুরের পুর প্রধান উত্তম দাস জানান, অসুস্থ থাকায় গত দু’দিন অফিস যাননি ওই ব্যক্তি। শনিবার তাঁর করোনা-পরীক্ষা করা হলে পজ়িটিভ ধরা পড়ে। যে হাসপাতালে তিনি কাজ করেন, আপাতত সেখানেই ভর্তি তিনি। পুর প্রধান জানান, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৮০ জনকে রাজারহাটের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তাঁর সহকর্মীরাও রয়েছেন। অন্য দিকে রবিবার ওই ব্যক্তির পরিবারের তিন জন এবং তাঁদের পরিচারিকা-সহ মোট ছ’জনকে পাঠানো হয় বারাসতের কাছে একটি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে।

পুর প্রধান জানান, ওই পাড়ার সব পরিবারকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে আনাজ পৌঁছে দেবে পুরসভা। ফোন করলে পাঠানো হবে মুদিখানার জিনিসও। নোনাচন্দনপুকুর বাজারে লকডাউন-পর্বে ভিড় ঠেকানো যাচ্ছিল না। আপাতত ওই বাজারের ঢোকা এবং বেরোনোর একটি করে পথ খোলা রাখা হয়েছে। ৫০ জনের বেশি লোককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

অন্য দিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, দক্ষিণদাঁড়ি, গোরক্ষবাসী রোড এবং সাতগাছি অতি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওই এলাকা-সহ আশপাশের এলাকাতেও বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। শনিবার সেখানে যান জেলাশাসক। স্পর্শকাতর এলাকার চারটি বাজার বড় মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এলাকাগুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজ হচ্ছে। শনিবার দমদম রোডে বসানো হয়েছে একটি স্যানিটাইজ়েশন টানেল। পুরসভার চেয়ারম্যান-পারিষদ প্রবীর পাল জানান, এলাকার সাধারণ মানুষ-সহ সকলেই ওই টানেল ব্যবহার করছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy