Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Gobordanga

এখনও গোবরডাঙায় চালু হল না কোভিড হাসপাতাল 

গোবরডাঙা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ হাসপাতালের ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা হয়েছে। নতুন শয্যা আনা হয়েছে। নতুন করে পানীয় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সীমান্ত মৈত্র
গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৫
Share: Save:

অক্টোবর মাসে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, কোভিড হাসপাতালে ৫০টি শয্যা থাকবে। ঘোষণার পরে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজার কাজ শুরুও হয়।

গোবরডাঙা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ হাসপাতালের ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা হয়েছে। নতুন শয্যা আনা হয়েছে। নতুন করে পানীয় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরজা জানলা তৈরি করা হয়েছে। নতুন রঙ করা হয়েছে। বাইরে থেকে হাসপাতালের পরিবেশ ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে।

কোভিড হাসপাতাল তৈরির সরকারি সিদ্ধান্তে শহরবাসী নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। এখনও কোভিড হাসপাতাল চালু না হওয়ায় শহরবাসী হতাশ।

গোবরডাঙা পৌর উন্নয়ন পরিষদে সহ সভাপতি পবিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলার সরকারি সিদ্ধান্তে আমরা খুশি হয়েছিলাম। চালু হতে বিলম্ব হওয়ায় হতাশ। রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, দ্রুত হাসপাতালটি চালু করার ব্যবস্থা করুক।’’ কোভিড হাসপাতাল কবে চালু হতে পারে এ বিষয়ে তাঁদের কাছে নির্দিষ্ট খবর নেই বলে জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী, শীঘ্রই কোভিড হাসপাতাল চালু করা হবে।’’ কেন এখনও কোভিড হাসপাতাল চালু করা গেল না?

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কোভিড হাসপাতাল চালু করতে গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরি কাজ শেষ। এখন প্রয়োজন লোকবল। কোভিড হাসপাতালে চালু করতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পাওয়া গেলেই কোভিড হাসপাতাল চালু করে দেওয়া হবে।’’

২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। বহির্বিভাগে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে চার দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য রোগী দেখতেন। হাসপাতাল থেকে কার্যত কোনও পরিষেবা পাচ্ছিলেন না বাসিন্দারা।

পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। যদিও সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। তার মধ্যে কোভিড হাসপাতাল চালু নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে হতাশ গোবরডাঙাবাসী।

অন্য বিষয়গুলি:

Gobordanga Covid hospital Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy