ফাইল চিত্র।
(এই খবর প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল ‘দাদার পরে করোনায় প্রাণ গেল বোনেরও’। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হাবড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল রবিবার রাতে। বারাসতের করোনা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ বার ওই ব্যক্তির বোনও আক্রান্ত হলেন করোনায়।
হাবড়া পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার মানস দাস বলেন, ‘‘বুধবার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের কাছে পৌঁছয়। রাতেই তাঁকে বারাসতে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে আক্রান্ত বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন-সহ সাতজনকে বারাসতে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার বৃদ্ধার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা ফের একবার দমকল বাহিনী স্যানিটাইজ করেছে। মানস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই এলাকায় রোজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে কারও জ্বর, সর্দি-কাশি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন। সন্দেহজনক মনে হলে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।’’
প্রশাসন ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তি ২৭ এপ্রিল দমদম মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর ডায়াবেটিস ও কিডনির সংক্রমণ ছিল। ৭ মে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তাঁকে বারসতের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে গিয়েছিলেন বোন। যদিও তাঁর সে দিন পরনে ছিল সুরক্ষা পোশাক।
বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে তাঁর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ওই এলাকার মধ্যে মোট ৭৪টি পরিবার রয়েছে। তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই সব পরিবারের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের কাছে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন মতো ওষুধ, দুধ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় পাঁচটি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনার পরেও শহরবাসীর অনেকেই ভ্রূক্ষেপহীন। সচেতনতা এখনও আসেনি। বৃহস্পতিবার সকালেও হাবড়া শহর বাজার এবং সড়কে অকারণ মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। মুখে মাস্ক না পরেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনেকে। যাঁরা মাস্ক পরেছিলেন, তাঁদের অনেকেই নাকের নীচে মাস্ক ছিল। হাবড়া ১ বিডিও শুভ্র নন্দী ও মানস দু’জনেই জানাচ্ছেন, এত কিছুর পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এত চেষ্টার পরেও কিছু মানুষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy