—প্রতীকী চিত্র।
জুয়া-গাঁজার ঠেক ঘিরেই বিবাদের সূত্রপাত হয় সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জলপোল বস্তিতে। সেই বিবাদই শনিবার বড় আকার নেয়। স্থানীয় সূত্রে উঠে আসছে এমনই তথ্য।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শনিবার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে এক পক্ষকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিন জন। রাতেই পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম অসিত হালদার, টুকাই জোশ, তারক দাস ও গোপাল দেবনাথ। প্রত্যেকেই জলপোল বস্তির বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, এফআইআর-এ নাম রয়েছে ধৃতদের। তবে মূল অভিযুক্ত অমি বা তার ঘনিষ্ঠ কেউ ধরা পড়েনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বস্তি ও সংলগ্ন এলাকায় একাধিক অনৈতিক কাজকর্ম চলে। জুয়া-গাঁজার ঠেক বসে নিয়মিত। তা নিয়েই দু’পক্ষের বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ দিনের ঘটনায় জখম বাপি হাজরা, সফিকুল শেখ ও প্রতাপ মিশ্র মাস দু’য়েক আগে অপর পক্ষের অমিত হালদার নামে এক যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে তাঁরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ওই দিনই ফিরে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে গেলে হামলা চলে। আরও আগে প্রতাপ, সফিকুলকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে অমিত ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’পক্ষই এক সময়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ থাকলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেয়। ২০২২ সালে পিন্টু দেবনাথ এই ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি হওয়ার পরে বাপি, সফিকুলেরা তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। অন্য দিকে, অমিতদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। পিন্টু বলেন, “অমিতেরা জুয়ার ঠেক চালায়, নানা অনৈতিক কাজ করে। আমি পুরপ্রতিনিধি হয়ে জুয়ার ঠেক বন্ধ করি। ওদের দলীয় কার্যালয় থেকে বার করে দিই। ওদের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন থানায় গণ আবেদন) জমা দিয়েছিলেন। পুলিশকে বলেছি, ব্যবস্থা নিতে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ দিন ওই দলীয় কার্যালয় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy