স্টেশনের রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেকে। বাইক বা গাড়ির চাকায় লেগে পাথর ছিটকে আসছে গায়ে-মাথায়। বসিরহাটের সাঁইপালার বিজয়চন্দ্র দাস রোডের পিচ-পাথর উঠে এমনই অবস্থা।
বসিরহাট শহরে পুর এলাকার মধ্যে স্টেশন যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি। টাউনহলের সামনে দিয়ে যাওয়া ইটিন্ডা রোড থেকে বেরিয়ে সাঁইপালার মধ্যে দিয়ে টাকি রোড হয়ে একটি রাস্তায় বসিরহাট স্টেশনে গিয়ে মিশেছে। ওই রাস্তার এক দিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড, অন্য দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড। টাকি রোডের কাছে বিজয়চন্দ্র দাস রাস্তার একটা অংশ দীর্ঘ মেরামতির অভাবে বেহাল। গাড়ির চাকায় পড়ে পাথর ছিটকে রাস্তার পাশে থাকা দোকান-বাড়ির দেওয়ালের কাচও ভাঙছে। এলাকাবাসীদের দাবি, সব দেখেও দেখে না পুর প্রশাসন। দু’টি ওয়ার্ডের মানুষই তিতিবিরক্ত।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রুতি মল্লিক, কাজল মণ্ডলরা জানান, রাস্তাটি দু’টি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে এক কাউন্সিলর অন্য কাউন্সিলরের ঘাড়ে রাস্তা মেরামতি না হওয়া নিয়ে দোষ চাপান। দুই কাউন্সিলরের কাছে একাধিকবার দরবার করেও কাজ হয়নি। রাস্তার পাশে নিকাশি নালায় বছরভর নোংরা জল জমে থাকে বলেও অভিয়োগ। মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অরবিন্দ মজুমদার, শৈল মণ্ডল জানান, নিকাশি বেহাল হওয়ার ফলে বৃষ্টি নামলেই কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায় বিজয়চন্দ্র দাস রোডে। রাস্তার ইট-পাথর ছিটকে পথচারীরা জখম হন। ধুলোর দাপটে অতিষ্ঠ সকলে।
৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত মজুমদার এবং প্রদীপ রায় জানান, রাস্তা এবং নিকাশি সংস্কার নিয়ে একাধিকবার পুরপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘অনেক টাকা খরচ করে স্টেশন যাওয়ার রাস্তাটি পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ঠিক করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস আগে এসএন মজুমদার রোড মেরামতির জন্য বন্ধ রাখা হলে ছোট-বড় সব গাড়ি চলেছে বিজয়চন্দ্র দাস রোড ধরেয় ফলে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে।’’ তিনি জানান, আপাতত ইটের খোওয়া ফেলে প্রাথমিক মেরামতির পরে ভাল করে রাস্তা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy