উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে মাইক-বক্স বাজিয়ে চলল অনুষ্ঠান। পানিহাটিতে এমনই অভিযোগ উঠল তৃণমূল এবং বাম-মহিলা সংগঠন উভয়ের বিরুদ্ধেই। প্রশ্ন হল, নিয়ম ভেঙে এমন কাজ করা হল কী ভাবে? দুই পক্ষেরই দাবি, তারা নিচুস্বরে বক্স বাজিয়েছে। যদিও বাস্তব চিত্র বলছে, দুই অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তায় লাগানো হয়েছে চোঙা। আর, শাসকদল এমএলএ-কাপে যে বক্স বাজিয়েছে তার আওয়াজ মোটেও কম ছিল না বলেই দাবি স্থানীয়দের।
আজ, সোমবার সকাল ১০টা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। নিয়মানুযায়ী তার ৪৮ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে যে কোনও রকমের মাইক, বক্স বাজানো নিষিদ্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের ধারে একটি ক্লাবের মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতা বা এমএলএ-কাপ শুরু হয়েছে। শনিবার সূচনা অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রবিবারও তারস্বরে বেজেছে বক্স, রাস্তার মাইক। ওই মাঠের পাশেই একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। সেই স্কুলের বিল্ডিংয়ের উপর থেকে স্থানীয় বিধায়কের নামাঙ্কিত ফুটবল প্রতিযোগিতার বড় ব্যানারও ঝুলছে। স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, অন্তত দিন ১০ আগে থেকে বাতিস্তম্ভে চোঙা বেঁধে সারা দিন এমএলএ কাপের প্রচার চলেছে।
প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্যোক্তা তথা বিধায়ক নির্মল ঘোষের
ছেলে পানিহাটি পুরসভার পুরপ্রধান পারিষদ সদস্য তীর্থঙ্কর ঘোষের দাবি, ‘‘যে ভাবে বক্স বাজানো হয়েছে, তাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রাস্তার প্রচার বাণিজ্যিক ভাবে করা হয়েছিল। ওটা আমাদের হাতে নেই। তবে আগামী দিনে আরও সচেতন হতে হবে।’’
প্রশাসনকে ব্যবহার করে শাসকদল অনিয়ম করছে বলে এ দিন পানিহাটিতে এসে অভিযোগ করেছেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য কমিটির সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ। যদিও এ দিন সকাল থেকে পানিহাটির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নাটাগড়ের অম্বিকাপুরে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির আয়োজিত রক্তদান শিবিরেও মাইক ও বক্স বাজানোর অভিযোগ উঠেছে। কনীনিকার দাবি, ‘‘কোনও মাইক বাজেনি। হলে বক্স বাজানো হয়েছে। সেটায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।’’ যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় চোঙা বেঁধে গান বাজানো হয়েছে। শাসক ও বিরোধী দল, দুই পক্ষই নিয়ম ভাঙলেও পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে? ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক কর্তা শুধু বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)