তছনছ: শুক্রবার ভাঙচুরের পরে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
সিপিএমের সভার জন্য দলের পতাকা লাগানো চলছিল। অভিযোগ, সে সময়ে কর্মীদের মারধর করে, মঞ্চ, মাইক ভেঙে দেওয়া হয়ে।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামের কলুপাড়া এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সিপিএম কর্মীরা কলুপাড়ায় বাদু রোড অবরোধ করেন। পরে অবশ্য সিপিএম এ দিন বিকেলে ফের কলুপাড়াতেই নতুন করে মঞ্চ বেঁধে সভা করেছে। তৃণমূল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, পুলিশের অনুমতি নিয়েই সভার আয়োজন হয়েছিল। সকাল থেকে কলুপাড়া এলাকায় দলীর পতাকা লাগানো হচ্ছিল। অভিযোগ, বেলা ১১টা নাগাদ কেমিয়া-খামারপাড়া অঞ্চলের তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী সেখানে চড়াও হন। সিপিএমের লোকজনকে মারধর করা হয়। মঞ্চ, মাইক ভাঙচুর করা হয়। দু’পক্ষই মারপিটে জড়ায়। সিপিএমের দাবি, তাদের সাত জন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহম্মদ আলাউদ্দিন নামে এক জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি বারাসত হাসপাতালে ভর্তি। গত দশ বছরে শাসন কার্যত হাতছাড়া বাম তথা সিপিএমের। সম্প্রতি সেখানে মিছিল করেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই মিছিলকে শাসনে নিজেদের পুনরুত্থান দাবি করে এ দিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-সহ নানা দাবি নিয়ে এ দিন জনসভা ছিল। সেখানে তৃণমূলের বাহিনী আক্রমণ করে। ছ’সাত জন হাসপাতালে গিয়েছেন। তবে মার খাওয়ার পরে কর্মীরা রুখে দাঁড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিকেলে ফের সভা করেছেন। তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। ওরা বাম-আইএসএফ কাউকে রাখতে দেবে না। শুধু নিজেরা থাকবে এবং বিজেপিকে রাখবে।”
বারাসত ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শম্ভু ঘোষ পাল্টা বলেন, “এলাকায় সিপিএম বলে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের থেকে সিপিএম বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সভায় লোক পাচ্ছে না, তাই মারধরের ভিত্তিহীন অভিযোগ করে প্রচারে থাকতে চাইছে।” বারাসত পুলিশ জেলার এক কর্তা জানান, দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। একটি মারামারি সংক্রান্ত। অন্যটি রাস্তা অবরোধ করে আইন-শৃঙ্খলাভঙ্গের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy