দমদম সেন্ট্রাল জেলে থাকা বন্দির উপরে চাপ সৃষ্টি করে তাঁকে দিয়ে আত্মীয়-পরিজন, আইনজীবীকে ফোন করিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। এ বিষয়ে ওই বন্দির আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত বৃহস্পতিবার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি কোন কোন ফোন নম্বর থেকে ফোন এসেছিল এবং কোন নম্বরে অনলাইনে টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল— সে সবের উল্লেখ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি গোপালনগর থানার পুলিশ আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে সঞ্জয় বসু নামে এক সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করে। বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২৪ জানুয়ারি ফের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। বনগাঁ মহকুমা উপ সংশোধনাগারে রাখা হয় সঞ্জয়কে।
দীপাঞ্জয় বলেন, ‘‘যেহেতু আমার মক্কেল হৃদরোগে আক্রান্ত এবং চিকিৎসকাধীন, তাঁকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতে হয়। তাই তাঁকে দমদম সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়।’’ দীপাঞ্জয়ের দাবি, জেল থেকে তাঁর মক্কেলকে দিয়ে কেউ বা কারা জোর করে ফোন করাচ্ছে আত্মীয়-পরিজন এবং দীপাঞ্জয়কেও। বলা হচ্ছে, টাকা না দিলে সঞ্জয়ের উপরে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হবে। ২৭ জানুয়ারি রাতে দীপাঞ্জয়ের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরেও ফোন এসেছিল বলে দাবি ওই আইনজীবীর।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে দীপাঞ্জয় জানিয়েছেন, ২৮ জানুয়ারি তিনি বিষয়টি বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই দিনই সঞ্জয়ের এক আত্মীয়ের কাছে একই ফোন আসে। ওই ব্যক্তির বাড়ি ভদ্রেশ্বরে। সেই আত্মীয় একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে ৫ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে দেন। দীপাঞ্জয় বলেন, ‘‘বিচারকের নির্দেশে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এ ভাবে টাকা চাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)