সংঘর্ষের পর হাসনাবাদে পুলিশের টহল।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হাসনাবাদের মুরারিশাহ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার রাতে এলাকার দখল নিয়ে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধে। শুরু হয় সংঘর্ষ। বোমা-গুলি চলে। ভাঙচুর করা হয় বাড়ি-গাড়ি। এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানে ঢুকে লুটপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকা দখল নিয়ে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই আছে। পরিস্থিতি যা, তাতে সন্ধ্যার পর আতঙ্কে থাকতে হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মাস ধরে এলাকার দখলকে কেন্দ্র করে প্রায়ই রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসনাবাদের মুরারিশাহ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। আতঙ্কে রাত কাটে গ্রামবাসীর। এক এলাকাবাসীর কথায়, ‘‘ভয়ে ভয়ে থাকি। কখন যে আমার বাড়ি ভেঙে ফেলবে কিংবা পুড়িয়ে দেবে জানি না।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আখের আলি মণ্ডল এবং অঞ্চল প্রধান আবদুল ওহাব মণ্ডলের গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল। মঙ্গলবার রাতেও হাসনাবাদের মুরারিশাহ অঞ্চলের আমতলায় তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বাসিন্দাদের দাবি, বোমা এবং গুলি ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় বাড়ি ও গাড়ি। তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি ভাঙচুর এবং লুটপাটের মত ঘটনাও ঘটে।
তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান ওহাব ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আখের দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে আমপানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বাধে। ওহাব বলেন, ‘‘তোলাবাজ আখের এলাকার দখল রাখতে গুলি, বোমা ছুড়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। সন্ত্রাস করছে।’’ আখের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ওহাব আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মানুষ তার প্রতিবাদে এক জোট হয়েছে। এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
তবে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy