Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Unnatural Death

চিকিৎসকের অপমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৩, তদন্তে সিআইডি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত ছিলেন কল্যাণ আশিস ঘোষ।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৯:০১
Share: Save:

ডায়মন্ড হারবারে চিকিৎসকের অপমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতি সহ তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের নাম অভিজিৎ দাস ও তাঁর স্ত্রী রিয়া। ধৃত আর এক জন বাকিবুল্লা বুরহানি কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত ছিলেন কল্যাণ আশিস ঘোষ। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে বদলি হয়ে যান। তবে সেখানে না গিয়ে তিনি হাসপাতালেরই আবাসনে থেকে যান। হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা কল্যাণ ডায়মন্ড হারবার শহরে একাধিক চেম্বারে প্র্যাকটিস করতেন।

৪ মার্চ ভোরে হাসপাতালের আবাসন থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। ওই দিনই ছিল তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এই ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে। কল্যাণের দাদা শুভাশিস ঘোষ ডায়মন্ড থানার আইসি। তদন্তে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। অভিজিৎ দাসের ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে একটি পানশালা আছে। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল কল্যাণের। অভিজিতের স্ত্রী রিয়ার সঙ্গে সেই সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে জানতে পারে পুলিশ। কল্যাণের আবাসনেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল রিয়ার। অভিজিৎ অবশ্য পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, রিয়ার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।

অভিযোগ, রিয়া নানা ভাবে কল্যাণের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁদের সম্পর্কের কথা লোকজনকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাকিবুল্লাও টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। ডায়মন্ড হারবারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাকিবুল্লার সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবারই মামলায় দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি।

কল্যাণের মৃত্যুর পরে তাঁর মেয়ে অভিজিৎ, রিয়া, বাকিবুল্লা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন। দিন কয়েক আগে ডায়মন্ড হারবার থানার গ্রেফতার করে তিন জনকে। সকলেই আপাতত পুলিশি হেফাজতে। পুলিশের কাছে পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগে কল্যাণের উপরে চাপ সৃষ্টির কথা বলা ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দাঁয়ের বিরুদ্ধেও। অধ্যক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, জোর করে আবাসন দখল করে রেখেছিলেন ওই চিকিৎসক। তা ছাড়া, তাঁর সম্পর্কে নানা কুরুচিকর কথা জানতে পেরেছিলেন। সে জন্য আবাসন ছেড়ে দিতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।

তদন্তকারীরা জানান, এক মহিলা পুলিশের নামও উঠে আসছে। চিকিৎসকের হাতে লেখা নানা তথ্য ঘেঁটে সে কথা জানা যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইসি বলেন, ‘‘যেহেতু আমার নিজের ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা, তাই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করেছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Diamond Harbour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy