কামারহাটি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কামারহাটি পুরসভার কাছে নথি চেয়ে পাঠাল সিবিআই। পাশাপাশি, পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছে। এমনটাই খবর পুরসভা সূত্রে। আগেও এই মামলায় পুরসভার ১৮ জন কর্মীকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মতো তাঁরা তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। আবার সেই পুরসভার কর্মীদের তলব করা হল।
পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের নির্দেশ মতো পুরসভার কর্মীরা সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন। পাশাপাশি, সিবিআই যে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, সেই সব নথিও পাঠানো হয়েছে। এর পরেও যা যা নির্দেশ আসবে, আমরা মেনে চলব।’’ প্রসঙ্গত, কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই ১৪টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, যার সঙ্গে সরকারি আধিকারিক, প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী এবং বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, যে সব পুরসভায় নিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে— উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর, পানিহাটি, কামারহাটি, হালিশহর পুরসভা। বৃহস্পতিবারেই বরাহনগর পুরসভার কর্মী এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালানোর সময়েই নথি সংগ্রহ এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে নিয়োগের পদ্ধতি এবং নির্দেশিকার নথি যাচাই করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০১৭-এ অয়নের সংস্থা বরাহনগর পুরসভায় প্রথম নিয়োগের বরাত পায়। ২০১৮-২০১৯ নাগাদ নিয়োগের পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, তাতে পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের নিকটাত্মীয়দের চাকরি হয়েছে বিভিন্ন পদে। মজদুর পদে কাজে যোগ দিয়ে কেউ কেউ পুর-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বলেও অভিযোগ। তখন রাজ্য পুর কর্মচারী ফেডারেশনের এক প্রভাবশালী নেতা এবং আশপাশের পুরসভার নেতাদের একাংশের নিকটাত্মীয়েরাও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও বাকিদের নিয়োগ হয় অয়নের সংস্থার হাত ধরে। ২০২০-র নভেম্বরে এই নিয়োগ হয়। যে কর্মীদের ডাকা হয়েছে তাঁরা কাকে কত টাকা, কার মাধ্যমে দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা চলছে বলে খবর। এ বার কামারহাটির পুরসভার থেকে নথি তলব করল সিবিআই। ঘটনাচক্রে, ধৃত অয়নের সূত্রেই তাঁর পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠে এসেছিল। সেই শ্বেতা কামারহাটি পুরসভাতেই চাকরি করেন। অয়নের সূত্রে শ্বেতার নাম উঠে আসার পর পুরসভায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন মদন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy