শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। গোসাবায়। নিজস্ব চিত্র
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প করে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করল ক্যানিং মহকুমা প্রশাসন। শনিবার গোসাবা বিডিও অফিসে এই বিশেষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিনের শিবির থেকে মোট ৩৩৯ জনকে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক বন্দনা পোখরিয়াল, গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র, গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অচিন পাইক, সহ সভাপতি কৈলাস বিশ্বাস-সহ গোসাবা ব্লকের অন্য আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জাতিগত শংসাপত্র পেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এক একটা শংসাপত্র পেতে বছর পেরিয়ে যাচ্ছিল বলেও অভিযোগ ছিল। কিন্তু মাস কয়েক আগে পি উলগানাথন এই জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। এই জাতিগত শংসাপত্র যাতে জেলার সাধারণ মানুষ দ্রুত পেতে পারেন সেই বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি। এ নিয়ে বিডিও ও এসডিওদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও করেন জেলাশাসক। দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র যাতে আবেদনকারীরা হাতে পান সেই নির্দেশ দেন তিনি।
জেলাশাসকের সেই নির্দেশ পেয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগী হন মহকুমাশাসকরা। সাধারণ নিয়মে জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের পাশাপাশি মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ শিবির করে ও এই শংসাপত্র প্রদানের কথা ভাবা হয়। এর আগে বাসন্তী ব্লকের বেশ কয়েকটি স্কুলে শিবির করে এই শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছিল।
মহকুমাশাসক বলেন, “জাতিগত শংসাপত্র পেতে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও হয়রানি না হয় সেই কারণেই এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।’’
এ বার গোসাবার মত প্রত্যন্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এই শিবির অনুষ্ঠিত হল। গোসাবার বিডিও বলেন, “একদিন আগে অনলাইনে আবেদন করেও এ দিন শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন অনেকেই। এতে উপকৃত হয়েছেন অনেক মানুষ।’’ আগামী দিনে গোসাবার প্রত্যন্ত গ্রাম কুমিরমারি, ছোটমোল্লাখালি এলাকাতেও এই ধরনের শিবির করা হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy