অঘটন: দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি। মঙ্গলবার, বারুইপুর-আমতলা রোডে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
বাস দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তাঁর শিশুপুত্রও। মঙ্গলবার দুপুরে বারুইপুর-আমতলা রোডে বাস উল্টে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে ১৪ জন আহত হন ওই দুর্ঘটনায়।
বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জানায়, দুপুর আড়াইটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর-আমতলা রোডের বলাখালির ঘোষপাড়া এলাকায়। রাস্তায় একটি ছোট বাঁকের মুখে এসডি ২৯ রুটের একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বাসের দরজার দিকটি মাটিতে চাপা পড়ে। ওই ঘটনায় শম্পা মণ্ডল (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। শম্পার সঙ্গেই ছিল তাঁর বছর ছয়েকের ছেলে সুপ্রিয়। গুরুতর জখম অবস্থায় সে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শম্পার বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকার মল্লিকপুরে। এ দিন বিষ্ণুপুর থেকে ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন শম্পা।
দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়েরা বাসের জানলার কাচ ভেঙে জখমদের উদ্ধার করেন। তার পরে জখমদের অটোয় করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাওয়ার পরে কিছুটা ঘষে যায়। সব যাত্রী উদ্ধার হওয়ার পরে শম্পাকে মৃত অবস্থায় বাসের ভিতরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার পরে পথচলতি গাড়ি ও অটো থামিয়ে জখমদের হাসপাতালে পাঠাতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয় মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আচমকা বিকট আওয়াজ হয়। দেখি বাস উল্টে গিয়েছে। বাসের ভিতর থেকে আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। আমি আশপাশের লোকজনকে ডেকে বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ শুরু করি।’’ গুরুতর জখম অবস্থায় বাসের কন্ডাক্টর অমিত ঘরামিকেও উদ্ধার করা হয়। অধিকাংশ যাত্রীর মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বেশ কয়েক জনের হাত-পা ভেঙেছে।
হাসপাতালে আহত সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ জানায়, বাসের চালক পলাতক। বাসে প্রায় ২৪ জন যাত্রী ছিলেন। জখম হয়েছেন ১৪ জন। বারুইপুর হাসপাতাল ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি নার্সিংহোমেও জখমদের ভর্তি করা হয়। কী কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারাল তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরা। দুর্ঘটনার পরে বাসটি রাস্তায় পড়ে থাকায় বারুইপুর-আমতলা রোড প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বন্ধ ছিল। বিকেল চারটে নাগাদ ক্রেন দিয়ে বাসটি তোলা হয়। তার পরে রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy