Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Gold Biscuits

BSF-Bangaon: বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় আটক ২১ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিএসএফের ঘোনারমাঠ আউটপোস্টের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কাছে ওই এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের খবর আসে।

বাজেয়াপ্ত: উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র

বাজেয়াপ্ত: উদ্ধার হওয়া সোনা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২২ ০৫:৩৫
Share: Save:

তল্লাশি অভিযান চলাকালীন প্রচুর সোনার বিস্কুট, বেশ কিছু সোনার বাট ও ১টি কয়েন আটক করল বিএসএফ জওয়ানেরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ সীমান্তের ঘোনারমাঠ এলাকায়। বিএসএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকার মতো।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিএসএফের ঘোনারমাঠ আউটপোস্টের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কাছে ওই এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের খবর আসে। ঘোনারমাঠ গ্রামের কাছে ইছামতী নদীর ধারে আন্তর্জাতিক সীমান্তে তল্লাশি শুরু করে জওয়ানেরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ৮ জনের সন্দেহভাজন একটি দলকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ইছামতী নদীতে একটি কাঠের নৌকোয় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেখে জওয়ানেরা। তাদের ধরার চেষ্টা করা হলে তারা সমস্ত জিনিসপত্র ফেলে রেখে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ব্যাগ খুঁজে পায় বিএসএফ। তার মধ্যে ছিল ৩২১টি সোনার বিস্কুট, ৪টি সোনার বাট এবং ১টি স্বর্ণমুদ্রা। আটক করা হয় কাঠের নৌকোটি। এ ছাড়া উদ্ধার হয়েছে ৪টি মোবাইল ফোন, প্যাকিং সামগ্রী এবং বাংলাদেশি সংবাদপত্র। বিএসএফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সোনা পাচার আটকের ক্ষেত্রে এটিই সব থেকে বড় সাফল্য। পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বিএসএফ।

বাংলাদেশ থেকে এ দেশে সোনা পাচার নতুন নয়। বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের কর্তারা নজরদারি চালানোর সময়ে বহুবার সোনার বিস্কুট আটক করেছেন। গ্রেফতার হয়েছে পাচারকারীরা। যদিও অভিযোগ, যারা গ্রেফতার হয় তারা মূলত ‘ক্যারিয়ার’। অর্থাৎ, টাকার বিনিময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিস্কুট পৌঁছে দেয় মাত্র। কিন্তু অধরাই থেকে যায় পাচারের মূল পান্ডারা। সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও পাচার চলছেই। কারণ, মূলত ‘সোর্স ইনর্ফমেশন’ বা পাকা খবর ছাড়া সোনার বিস্কুট ধরা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে পুলিশের একটি সূত্র। তাদের দাবি, সোনার বিস্কুট আকারে ছোট। সহজেই লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তা ছাড়া, সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার না থাকায় বিপদ বাড়ছে।

এই বিষয়ে বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘গরিব মানুষ কিছু টাকার লোভে সোনার বিস্কুট পাচার করে। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ে মারধর খায়। সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী, খুনও পর্যন্ত হতে হয়। সম্প্রতি ট্রাক চালক গৌর রায়ের মৃত্যুর ঘটনাই তার প্রমাণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ক্যারিয়ারদের ধরলে হবে না। পান্ডাদের গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ-প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন।’’ যদিও বনগাঁ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Gold Biscuits BSF Bangaon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE