সিভিক পুলিশের তত্পরতায় ধৃত দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময়ে দুই সিভিক পুলিশের তত্পরতায় ধরা পড়ল এক দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পেশায় তোষক-বিছানার ব্যবসায়ী আকবর আলি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় একটি ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন। লাঠিতে ভর দিয়ে যখন ওই ব্যবসায়ী ব্যাঙ্কের নীচে নামছিলেন। সে সময়ে আব্দুল বাসার সর্দার নামে এক দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে পালায়। সে সময়ে টাকি রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন দেগঙ্গা থানার দুই সিভিক পুলিশ ইকরামুদ্দিন কুরেশি এবং হাবিব সর্দার। ব্যবসায়ীর চিত্কারে জনতা ওই দুষ্কৃতীর পিছু নেয়। খানিকটা দৌড়ে তাকে ধরে ফেলেন দুই ভলান্টিয়ার। শুরু হয় গণধোলাই। ওই দুই সিভিক পুলিশই জনতার হাত থেকে বাসারকে উদ্ধার করে ব্যাঙ্কের প্রহরীর ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
দত্তপুকুরের স্কুলে ডাকাতি
নিরাপত্তা রক্ষী-সহ স্কুলের এক শিক্ষককে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দিল ডাকাত দল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ময়নাগদি এলাকার কল্যাণী পাবলিক স্কুলে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে ৬ জন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে পাঁচিল টপকে ওই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলটিতে ঢোকে। স্কুলে তখন দু’জন বেসরকারি ও দু’জন স্কুলের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন। স্কুলের ভিতরেই একটি ঘরে থাকতেন এক জন ক্রীড়াশিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ওই ৫ জনকেই মারধর করে। দুষ্কৃতীদের ধারাল অস্ত্রের ঘায়ে দু’জন সামান্য আহতও হন। এরপরে রক্ষীদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে অফিস ঘরের আলমারি ও ক্যাস কাউন্টার ভেঙে লক্ষাধিক টাকা এবং চারটি মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়। আহত দু’জনকে মঙ্গলবার সকালে অবশ্য প্রাথমিক চিকিত্সার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের সিসি টিভি এর ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুলিতে জখম তৃণমূল-কর্মী
অটো দাঁড় করিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার পাঁচপোতায়। তুষার অধিকারী নামে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন অটো ধরে পাঁচপোতা-গোবরডাঙা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তুষারবাবু। দু’টি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী এসে অটো আটকায়। অটোর মধ্যেই গুলি করা হয় তুষারকে। তিনি পালাতে গেলে ফের আর এক রাউন্ড গুলি চালায় তারা। তুষারবাবুকে পাঁচপোতা বুথ কমিটির সভাপতি বলে দাবি করে জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেন, সিপিএম আশ্রিত এক দুষ্কৃতীই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।
লক্ষাধিক টাকা লুঠ
বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঢোলাহাটের শিমূলতলা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন রাতে চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন খালেদা বিবি। তাঁর স্বামী কুদ্দুস আলি মীর কলকাতায় ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন। দু’জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী দরজা ভেঙে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠ চালায়। তাঁকে মারধরও করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অবরোধ
হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখাল টিএমসিপি সদস্যেরা। অবরোধ তুলতে এসে ঘেরাও বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে পুলিশ। তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে ওসির হাতে রাখি পরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটে। বিক্ষোভের জেরে নেবুখালি-পারহাসনাবাদের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তদন্তে সিআইডি
কলেজের রক্ষীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে এলেন সিআইডির দুই আধিকারিক। মঙ্গলবার তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। শুক্রবার রাতে ডায়মন্ড হারবার কলেজের এক নিরাপত্তা রক্ষীর বাড়িতে লুঠপাট চালায়।
ধৃত প্রধান
নিজেরই দলের নেতাকে খুনের ঘটনায় এক সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম আব্দুল রহমান লস্কর। অক্টোবরে কুলতলি থানা এলাকার সিপিএম নেতা ভরত নস্করকে গুলি করে খুন করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই হত্যাকাণ্ডে কয়েক জন সিপিএম নেতা জড়িত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএম জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ মিথ্যা মামলায় আব্দুলকে ধরেছে।”
সরকারি দরে আলু। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy