হস্টেলে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাথরপ্রতিমা
স্কুলের হস্টেলের ঘর থেকে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ফাঁস গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাথপ্রতিমায় বরদাপুর আদর্শ মিলন বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সঙ্গীতা পাত্র (১৩)। বাড়ি বরদাপুর গ্রামে। এ দিন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্কুল ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে হস্টেলে ফিরেছিল সঙ্গীতা। তাকে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে সহপাঠীরা প্রধান শিক্ষককে জানায়। প্রধান শিক্ষক সুব্রত নায়েক জানান, তিনি ওই ছাত্রীর কাছে কারণ জানতে চাওয়ায় সে জানায় বাবা মা তাকে ভালবাসে না। তাকে কুড়িয়ে পেয়েছে বাবা মা। এরপর যে যার মতো ক্লাসে চলে যায়। ঘণ্টা দেড়েক বাদে একাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী হস্টেলে ফিরে ঘরে সঙ্গীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। তাঁরা অন্যন্যদের খবর দেন। সুব্রতবাবু বলেন, “হস্টেলের অদূরেই সঙ্গীতার বাড়ি। দিন কয়েক আগে সে আমাকে জানিয়েছিল এবার থেকে হস্টেলে থেকে পড়বে। সেই মতো ওকে রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অভিমানে আত্মহত্যা করেছে সঙ্গীতা। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সন্দেশখালিতে খুনের চেষ্টায় দশ বছরের জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • সন্দেশখালি
বন্ধুকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় যুক্ত এক ব্যক্তির সাজা ঘোষণা করলেন বসিরহাটের ফাস্ট ট্র্যাক ওয়ান আদালতের বিচারক অমিতকুমার চট্টোপাধ্যায়। এই মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী জগন্নাথ নাথ বলেন, “বন্ধুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গত ১১ মার্চ প্রবীর মিস্ত্রিকে দোষী ঘোষণা করেন বিচারক। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরএ ৬ মাস কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। জগন্নাথবাবু জানান, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ৩০৭ ধারায় অভিযুক্তের এত বছরের জন্য কারাদণ্ড খুবই উল্লেখযোগ্য রায়। পুলিশ জানায়, সন্দেশখালির দক্ষিণ আখড়াতলায় বাড়ি প্রবীর মিস্ত্রির। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোষপুর গজালিয়া ফেরিঘাটে বন্ধু দেবাশিস মৃধার সঙ্গে দেখা হয় তার। ইটভাটা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে দু’জনের বচসা, হাতাহাতি বাধে। উভয় পক্ষের সঙ্গীরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, সে সময়ে হাতুড়ি দিয়ে দেবাশিষের মাথায় ঘা মারে প্রবীর। গুরুতর আহত অবস্থায় দেবাশিসকে স্থানীয় ঘোষপুর হাসপাতাল থেকে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল হয়ে কলকাতা স্থানান্তিত করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রবীরকে গ্রেফতার করে।
হুকিং কাটতে গিয়ে আক্রান্ত কর্মীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাড়োয়া
অবৈধ বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে মার খেতে হল বিদ্যুকর্মীদের। তাঁদের গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়ার আটপুকুর গ্রামে। বিদ্যুত্ দফতরের হাড়োয়ার স্টেশন ম্যানেজার অনিরুদ্ধ মণ্ডল বলেন, “শফিকুল ইসলাম মোল্লা হুকিং করে বিদ্যুত্ ব্যবহার করছিলেন। অভিযোগ পেয়ে গ্রামে গেলে জনতা আমাদের কয়েক জনকে মারধর করেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শফিকুল-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে।’’ বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ ও বিদ্যুত্ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুকিং খুলে দিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ ফেরার তোড়জোড় করছিলেন কর্মীরা। তখনই শুরু হয় হামলা। কর্মীরা গাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তাঁদের টেনে বের করার চেষ্টা করা হয়। মারধর করা হয় কুমার সরকার নামে এক কর্মীকে। বাধা দিলে বাকিদেরও পেটানো হয়। ভবিষ্যতে হুকিং কাটতে গ্রামে ঢুকলে আরও বড় ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছে গ্রামের কিছু মানুষ।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বসিরহাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
বিবাহিতা মধ্যবয়সী এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের শ্বেতপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মুহব্বার মোল্লা। স্বামীর মৃত্যুর পরে দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা। বিয়ের পর মেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকে। দুই ছেলেও বাড়িতে ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে গভীর রাতে ওই মহিলার উপরে পাশবিক অত্যাচার চালায় মুহব্বার। মহিলার চিত্কারে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে পড়লে ওই ব্যক্তি পালায়। মঙ্গলবার দুপুরে মহিলা বসিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নানা ভাবে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিত মুহব্বার। প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য মিথ্যা বলেই দাবি করেছে বছর চল্লিশের মুহব্বার। তার বক্তব্য, পুরনো একটি মারামারির ঘটনার জেরে ফাঁসিয়ে দিতেই ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
কৃষিরত্ন পুরস্কার
জৈব সারের মাধ্যমে উন্নত মানের ফসল ফলানোর জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘কৃষিরত্ন’ পুরস্কার পেলেন হাড়োয়া ব্লকের হরিপুর গ্রামের মহিবুল মোল্লা। শনিবার ব্লক দফতরে এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা সুদীপ্ত রঞ্জন সান্যাল-সহ অনেকে। মহিবুলের হাতে শংসাপত্র এবং ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। মহিবুল বলেন, “জৈব সার প্রয়োগে ফসল উন্নতমানের হয়। শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকারক নয়।’’
রানাঘাট কাণ্ডের প্রতিবাদ অশোকনগরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy