আক্রান্ত: আত্মীয়ের সঙ্গে নীলরতন। বুধবার তোলা —নিজস্ব চিত্র
চাহিদা মতো কাটমানি দিতে না পারায় বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার তিউড়িয়া গ্রামের মাঝিপাড়ায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনাখাঁর তিউড়িয়া গ্রামের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক নীলরতন মাঝি কয়েক মাস আগে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ঘর পাবেন বলে তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। কিন্তু কয়েক হাজার টাকা কাটমানি না দিলে তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার নালিশ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নীলরতন বলেন, ‘‘কষ্ট করে কোনও রকমে ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে তৃণমূল নেতাদের হাতে দিয়েছিলাম। বাকি টাকা পরে দেব বলে কথা দিলেও কথা রাখতে পারিনি। তারই জেরে মাঝে মধ্যে হুমকি দিতে থাকেন এলাকার দুই তৃণমূল নেতা।’’
এ দিন বিকেলে জমি-সংক্রান্ত বিষয়ের অজুহাতে তৃণমূলের স্বপন মাঝি এবং বাপি মাঝির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নীলরতন। স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো দু’পক্ষ শান্ত হলেও রাত ১০টা নাগাদ নীলরতনের বাড়িতে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মার খান নীলরতন এবং তাঁর মাসি বেহুলা মাঝি। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালায়। আহত দু’জনকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নীলরতনের মাথা ফাটে, বেহুলার হাত ভেঙেছে। বুধবার দুপুরে নীলরতন মিনাখাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের চাহিদা মতো কাটমানি দিতে না পারায় দুষ্কৃতীদের নিয়ে নীলরতনের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর এবং যথেচ্ছ মারধর করে। আমরা দোষীদের শান্তির দাবি করছি।’’
অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, ‘‘কাটমানির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটা জমির দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পারিবারিক বিষয়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy