(বাঁ দিকে) শেখ শাহজাহান মার্কেট এবং ধৃত শাহজাহান। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সাসপেন্ড নেতা শাহজাহান শেখের নামাঙ্কিত সন্দেশখালির মার্কেটের ‘দখল’ নিল বিজেপি। তৃণমূলের পতাকা খুলে সেখানে উড়ল বিজেপির পতাকা। এ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পতাকা লাগালেই ভোট পাওয়া যায় না।’’
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার ওই বছরেই তৈরি হয় সন্দেশখালির এই মার্কেট। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই মার্কেটের জমিও জোর করে দখল করা হয়েছিল। প্রায় ১ একর ১৫ শতক জায়গায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মার্কেট তৈরি হয়েছিল। নাম দেওয়া হয় ‘শেখ শাহাজাহান মার্কেট’। গত ৫ জানুয়ারি ইডি এই মার্কেটেও হানা দিয়েছিল। মার্কেটের একটি দোকানে শাহজাহানের অফিস রয়েছে। শনিবার সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে যখন শিবির করেছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালরা, তখন শাহজাহানের নামাঙ্কিত মার্কেটে উড়ল বিজেপির পতাকা।
সরবেড়িয়ায় অবস্থিত শাহজাহানের নামাঙ্কিত ওই মার্কেটের ছাদ থেকে বাজারের ভিতরে পদ্ম আঁকা পতাকা টাঙানো হয়েছে। যে বিশাল মার্কেট আছে সেই মার্কেটের ভিতরে এবং বাইরে টাঙানো হল বিজেপির পতাকা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সন্দেশখালি-সহ সরবেড়িয়া এলাকায় তাঁদের সংগঠন ছিল। কিন্তু শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর ভয়ে বিজেপির পতাকা লাগানো যেত না কোথাও। বিজেপি মিটিং-মিছিল করতে পারত না। এখন শাহজাহান সিবিআইয়ের হেফাজতে। তাই বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকেরা সাহস পেয়েছেন। সন্দেশখালির বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ বলেন, ‘‘সন্দেশখালি-সহ সরবেড়িয়া এলাকায় আমাদের সংগঠন ছিল। কিন্তু শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর ভয়ে বিজেপির পতাকা লাগাতে যেত না। বিজেপি মিটিং-মিছিল করতে পারত না। এখন শাহজাহান ও তাঁর বেশ কয়েক জন অনুগামীর কেউ কেউ সিবিআই হেফাজতে তো কেউ জেলে রয়েছেন। তাই বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা এখন পতাকা লাগানোর সাহস পেয়েছেন। তাই পতাকা লাগাচ্ছেন।’’
অন্য দিকে, এ নিয়ে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর মন্তব্য, ‘‘পতাকা লাগাতেই পারে। ফ্ল্যাগ লাগিয়ে ভোট হয় না। তবে কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপরে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে আনন্দ-উল্লাস করাটাও ঠিক নয়।’’
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে যখন ইডি তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, এই অফিসেও এসেছিল তারা। অফিসের কর্মী জানিয়েছিলেন, ক্যাশবাক্সে বাজার থেকে তোলা অনেক টাকা ছিল। অন্তত ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ইডি বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ইডি টাকার বাক্স ঘেঁটে দেখেছিল বলেও জানান। পরে তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়েই ওই অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy