বাড়ি থেকে ডেকে এনে দলের কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, এই অভিযোগে বনগাঁ পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শনিবার সকালে বিজেপির তরফে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হয়। প্রতিবাদ মিছিলও হয়। পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার দুই সহ সভাপতি মধুসূদন মণ্ডল এবং দেবদাস মণ্ডল, বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্য-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বনগাঁর এসডিপিও অশেষ বিক্রম দস্তিদারের অপসারণ দাবি করা হয়।
দেবদাস বলেন, ‘‘বিজেপি করার অভিযোগে শুক্রবার এসডিপিও-র নির্দেশে আমাদের এক কর্মীকে পুলিশ বাড়ি থেকে তৃণমূলের মদতে ধরে এনেছে। এসডিপিও শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করে তুলছেন। উনি তৃণমূলের দলীয় সভাপতি হিসাবে কাজ করছেন।’’ বিজেপির দাবি, দিন কয়েক আগেও রাতে এক বিজেপি কর্মীকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে এনেছিল। পরে তাঁরা বনগাঁ থানা ঘেরাও করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ গাইঘাটার মণ্ডলপাড়া এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সজল ভট্টাচার্য ওরফে ভোলে। বাড়ি বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। অতীতে তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক পাচার-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। অপরাধমূলক কাজে যুক্ত অভিযোগে জেলও খেটেছিল সে। যদিও বিজেপির দাবি, ইদানীং সে অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত নয়।
তৃণমূলের জেলার কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’’
এসডিপিও বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ভোলেকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে।’’ বিজেপির দাবি নিয়ে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy