অভিযান: যাত্রা শুরুর আগে পাখি উৎসব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে যোগদানকারীদের। নিজস্ব চিত্র
এই প্রথম সুন্দরবনে শুরু হল পাখি উৎসব বা বার্ড ফেস্টিভাল। পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগ ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে সজনেখালিতে উৎসবের সূচনা হয় মঙ্গলবার। চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখিপ্রেমীরা যোগদান করেছেন। মঙ্গলবার সজনেখালিতে পাখি উৎসব সম্পর্কে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় উৎসবের সূচনা করেন বনকর্তারা।
বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পাখি উৎসবে যোগদানকারীরা সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে ঘুরে পাখি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ পাবেন। বনাধিকারিকেরা জানান, সুন্দরবনে তিশোর বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার পাশাপাশি নতুন কোনও প্রজাতির পাখি এসেছে কি না, তার খোঁজ চলবে। নথিভুক্ত করা হবে সমস্ত তথ্য। সুন্দরবনের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখিদের শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণের পরিকল্পনা করা হবে। উৎসবের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের প্রকৃতি, পরিবেশ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের ডিরেক্টর রাজেশকুমার বলেন, ‘‘সুন্দরবনে কী কী ধরনের পাখি পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও তাদের সংরক্ষণই এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে আগামী দিনে এখানে ইকো ট্যুরিজম চালু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।’’
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অজয়কুমার দাস বলেন, ‘‘আমাদের অনুষ্ঠানের লক্ষ্য, সুন্দরবনের নিজস্ব বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বর্তমানে কী কী পাখি সুন্দরবনে রয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ। এই উৎসবের মাধ্যমে সুন্দরবনের অন্যান্য প্রাণীদের সম্পর্কেও ধারণামিলবে।’’
তিনি আরও জানান, ছ’জন করে যোগদানকারীকে নিয়ে ছ’টি দল গড়া হয়েছে। প্রতিটি দলে এক জন পাখি বিশেষজ্ঞ ও এক জন গাইড রয়েছেন। দলের সঙ্গে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরবেন তাঁরা। তিন দিনের এই উৎসবে সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে ঘুরে যে সমস্ত পাখির দেখা মিলবে, ১০ ফেব্রুয়ারি সজনেখালিতে ফিরে সকলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। তাঁদের তোলা ছবি এবং তথ্য যাচাই করে নতুন তালিকা তৈরি হবে।
বার্ড ফেস্টিভালে যোগদান করতে কটক থেকে এসেছেন রামচন্দ্র বারিক। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনিমেষ বসু, কলকাতার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষেরাও আছেন। সকলেই জানালেন, পাখি ভালবাসেন। তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। নতুন প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে বলে আশা তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy