মধ্যমগ্রামে খুনের পরে ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ পাচারের চেষ্টার ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে আসছে। ওই ঘটনায় দুই প্রধান অভিযুক্ত, ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুমিতাকে খুনের দিনকয়েক আগে তাঁকে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তেরা। এমনকি, কলকাতা হাই কোর্টের এক আইনজীবীর কাছেও সুমিতাকে নিয়ে গিয়েছিল ফাল্গুনী ও আরতি।
কিন্তু কেন, সেই উত্তর এখনও অভিযুক্তদের থেকে বার করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৩
ফেব্রুয়ারি, রবিবার মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বীরেশপল্লিতে খুন হন অসমের যোরহাট থেকে আসা সুমিতা ঘোষ। তিনি ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি। বীরেশপল্লিতে ফাল্গুনীদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন প্রৌঢ়া।
সুমিতার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতেই তাঁকে ফাল্গুনীরা খুন করেছে বলে শুরু থেকে সন্দেহ করছে পুলিশ। খুনের পরে সুমিতার দেহ গঙ্গায় ফেলতে ট্রলি ব্যাগে ভরা হয়। অভিযোগ, তার আগে ট্রলি ব্যাগে দেহ ভরতে সুমিতার পায়ের গোড়ালি থেকে কেটে দেয় আরতি। কিন্তু কেন খুনের দিনকয়েক আগে সুমিতাকে বর্ধমানে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছে নিয়ে গিয়েছিল ফাল্গুনীরা, কেনই বা আইনজীবীর কাছেও প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল— তা স্পষ্ট হচ্ছে না তদন্তকারীদের কাছে।
বারাসত পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাতে ফাল্গুনীদের নিয়ে দক্ষিণ বীরেশপল্লির বাড়িতে যেতে পারে পুলিশ। সুমিতার পোশাক যে ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অভিযুক্তেরা, সেটি ওই বাড়িতেই রয়েছে বলে পুলিশ জেনেছে। প্রসঙ্গত, সুমিতার দেহ কাটায় ব্যবহৃত বঁটি, কাটারি ও হাতুড়ি মঙ্গলবার ফাল্গুনীদের বাড়ির সামনের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)