রাস্তার পাশে মালপত্র। কাঁঠালবেড়িয়া মোড়ের কাছে।
বাসন্তী রাজ্য সড়কের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইমারতি দ্রব্য। অভিযোগ, তার জেরে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দখল করে বালি-পাথর রাখা হলেও, প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ। এলাকার মানুষের দাবি, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
গত বুধবার বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া মোড়ের কাছে রাস্তায় ফেলে রাখা বালিতে পিছলে গিয়ে গুরুতর জখম হন বাইক আরোহী দুই যুবক। শ্যামসুন্দর ঘরামি ও নীতীশ হালদার নামে ওই দুই যুবককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এলাকার লোকজন। শ্যামসুন্দরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নীতীশ বলেন, “দু’জনে অফিসের কাজে বাইকে চেপে বাসন্তী গিয়েছিলাম। ফেরার পথে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরিকে পাস দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বালিতে বাইকের চাকা পিছলে যায়। পড়ে গিয়ে জখম হই দু’জনেই।”
কাঁঠালবেড়িয়া, কলতলা, চুনাখালি, পালবাড়ি, কুলতলি, নতুনহাট সহ বহু এলাকাতেই এ ভাবে রাস্তার উপরে ইমারতি সামগ্রী জড়ো করে রাখা থাকছে। অনেকে এ ভাবে রাস্তার পাশে ইমারতি সামগ্রী জড়ো করে রেখে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকে বাড়ি তৈরির জন্য বালি, ইট, পাথর এনে মজুত করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ দখল করে সেই সব সামগ্রী রাখা হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাসন্তীর বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, “দিনের পর দিন, মাসের পর মাস রাস্তার পাশে বালি, পাথর রেখে কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ বা বাড়িঘর, দোকান তৈরি করছেন। শাসকের হাত তাঁদের মাথায় রয়েছে। তাই দুর্ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।” বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “পুলিশকে বলব, সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তায় এই সব সামগ্রী না রাখা হয়, রাস্তা যাতে পরিস্কার থাকে, দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে— সে দিকে লক্ষ্য রাখতে। বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” — নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy