প্রতীকী চিত্র
বিভিন্ন সময়ে অন্তত আট জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তপতী মণ্ডলের। প্রসেনজিৎ বৈদ্য নামে যে যুবকের সঙ্গেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল, সেই যুবকও তাঁর প্রেমিক বলে জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। তপতীর প্রাক্তন কিছু প্রেমিক মিলেই দু’জনকে খুন করেছিল বলে দাবি পুলিশের। তাতে ইন্ধন ছিল মহিলার পরিবারেরও কারও কারও। তাদেরই এক জন, তপতীর ভাই ভীম মণ্ডলকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ির পিছন থেকে প্রসেনজিতের জামা, হেডফোন-সহ টুকিটাকি কিছু উদ্ধার করেছে পুলিশ। বনগাঁর শিবপুর গ্রামে জোড়া খুনের মামলায় ধৃত ভীমকে শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, ভীম খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে। আরও কয়েক জনকে খুঁজছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে গ্রামের একটি পাটকাঠির গাদায় প্রসেনজিৎ ওরফে বলাই এবং তপতীকে মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রসেনজিতের দাদা রঞ্জিত শুক্রবার পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি ও পোড়া কাপড়ের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। প্রশিক্ষত কুকুর দিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিল। যুবককে কিছু খাইয়ে অচেতন করিয়ে পাটকাঠির গাদায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রসেনজিতের সঙ্গে মাঠেঘাটে গোপনে মেলামেশা করতে দেখা গিয়েছিল তপতীকে। ১৫ ডিসেম্বর রাতেও মাঠের মধ্যে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে কিছু লোক। পুরনো যাদের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক ছিল, তারাই দু’জনকে খুন করেছে বলে পুলিশের অনুমান। কিন্তু পরিবারের লোকজনের কেন তাতে ইন্ধন ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগে তপতীর এক প্রেমিক তাঁর বাড়িতে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে খবর। সেই যুবক অবশ্য বেঁচে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy