প্রতীকী ছবি।
এক মহিলা-সহ আটক তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোল এলাকার ঘটনা। পুলিশের একটি ভ্যানেও হামলা হয় বলে অভিযোগ।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধরের পাল্টা অভিযোগও উঠেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত একটি পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে। বছর
দেড়েক আগে ওই এলাকার যুবক সোমনাথ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় হরিণঘাটার বাসিন্দা বৈশাখীর। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের পরিবারে অশান্তি চলছিল।
মঙ্গলবার ওই বধূ বাপের বাড়ি চলে যান। শ্বশুরবাড়ির তরফে অভিযোগ করা হয়, তিনি কয়েক হাজার টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছেন।
সোমনাথের পরিবার দাবি করে, বৈশাখীকে পালাতে সাহায্য করেছেন তাঁর মামাতো বোন। তারা বৈশাখীর মামাতো বোনকে ধরে আনে বলে অভিযোগ।
খবর দেওয়া হয় বৈশাখীকে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ওই বধূ জানান, তিনি টাকা বা গয়না কিছুই সঙ্গে আনেননি।
সমস্যা মেটাতে দুই পরিবারের লোকজন সালিশি সভা ডাকে। সেখানে বৈশাখীর দুই আত্মীয় আসেন। অভিযোগ, তাঁদের মারধর করে আটকে রাখা হয়। থানায় সেই খবর এলে তাঁদের উদ্ধার করতে যায় পুলিশ।
পুলিশের দাবি, আটকদের উদ্ধার করে আনার সময়ে বাধা দেয় এলাকার কিছু মানুষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ।
পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ দিকে, গোলমাল চলাকালীন একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে এক মহিলাকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, ‘‘আমরা ঘটনার কথা কিছুই জানতাম না। স্ত্রী বাড়িতে রান্না করছিলেন। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করে।’’
ওই মহিলাকে জখম অবস্থায় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, দৌড়ে পালানোর সময়ে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মীয়দের আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈশাখী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy