Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
Agarpara

আগরপাড়ায় চাঁদা চেয়ে ‘জুলুম’, বৃদ্ধকে প্রহারের অভিযোগ

সূত্রের খবর, ওই রাতে আগরপাড়া মধ্যপল্লির মহাজাতি ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির চার সদস্য স্থানীয় একটি আবাসনে চাঁদা তুলতে যান। ওই আবাসনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:২৫
Share: Save:

পুজো কমিটির দাবি ছিল, ১১০০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। কিন্তু যে পরিবারের কাছে ওই টাকা দাবি করা হয়েছিল, তাঁরা ২০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন। অভিযোগ, তাতে রাজি না হয়ে চড়াও হলেন পুজো কমিটির সদস্যেরা। আর সেই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন পরিবারের এক বৃদ্ধ সদস্য। বুধবার রাতে, আগরপাড়ার ঘটনা। খড়দহ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সূত্রের খবর, ওই রাতে আগরপাড়া মধ্যপল্লির মহাজাতি ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির চার সদস্য স্থানীয় একটি আবাসনে চাঁদা তুলতে যান। ওই আবাসনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। পাশের আরও একটি ফ্ল্যাট তিনি ভাড়ায় নিয়েছেন।ওই দু’টি ফ্ল্যাট বাবদ ১১০০ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। সঞ্জয়ের দাবি, তাতে তিনি রাজি না হওয়ায়ক্লাবের সদস্যেরা গালিগালাজ শুরু করেন। সঞ্জয়ের স্ত্রী বেরিয়ে এলে তাঁকেও অশ্লীল কথা বলা হয়।আরও অভিযোগ, বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছলে সঞ্জয়ের শ্বশুর সেখানে এসে মধ্যস্থতা করতে গেলে তাঁকে মারধর করেন ওই ক্লাবের সদস্যেরা।

শেষে আবাসনের অন্য আবাসিকেরা পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁদের কথায়, ‘‘ক্লাবের চার তরুণ সদস্য এমন অভব্য আচরণ করবেন, ভাবতে পারছি না। ঘটনায় প্রবীণ ব্যক্তির হাতেও আঘাত লেগেছে।’’ পরে আবাসনের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ক্লাবের সম্পাদক সুপ্রতীক ধরবলেন, ‘‘চাঁদা দিতে আপত্তি থাকতেই পারে। কিন্তু সঞ্জয়ের স্ত্রী-ই প্রথমে ওই চার সদস্যের দিকে তেড়ে যান। তার পরেই সঞ্জয় মারতে উদ্যত হন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই সব স্পষ্ট হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Agarpara Durga Puja 2024
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE