—প্রতীকী চিত্র।
এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতবাহী তার। পাড়ার মোড়ে বহু মানুষের আনাগোনার কথা মাথায় রেখে, বিদ্যুৎবাহী তার নিয়ে গ্রামের মানুষ আগেই সতর্ক করেছিল বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরকে। কিন্তু অভিযোগ, দফতর থেকে কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই তার ছিঁড়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় একজনের। জখম হন আরও চার জন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির চুপরিঝাড়া পঞ্চায়েতের পূর্ব রাধাবল্লভপুর গ্রামে চিন্তাহরণবাবুর চক এলাকায়। আচমকা তার ছিঁড়ে পড়ার ঘটনায় বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামের মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুদর্শন সর্দার (৬২)। জখম হয়েছেন জয়নাল সর্দার, নবকুমার হালদার, মনোরঞ্জন হালদার ও জামিনি নস্কর। প্রত্যেকেই ওই এলাকারই বাসিন্দা। মোড়ে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে সুদর্শনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর জখম জয়নালকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিদের গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়েছে। এলকার বাসিন্দারা জানান, দোকানে থাকা আরও কয়েকজন অল্প বিস্তর আহত হন। ঘটনার পর হুড়োহুড়িতেও জখম হন কয়েকজন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই মোড়ে একাধিক দোকান রয়েছে। বহু মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। উপর দিয়েই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এগারো হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎবাহী তার গিয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ওই তার থেকে বিপদ হতে পারে বলে বিদ্যুৎ দফতরকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনার পর বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে ফোন করে ওই তারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বিদ্যুৎ চালু করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এর ফলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বসন্তকুমার সরকার বলেন, “ওই এলাকায় অনেক লোকজন আসেন। বসে চা খান। আমরা বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েছিলাম, ওই এলাকায় নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া হোক। কিন্তু ওরা আমাদের কথা শোনেনি। এ দিন ঘটনার পর আমি বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করি। প্রাথমিকভাবে বন্ধ করলেও আবার বিদ্যুৎ চালু করে দেওয়া হয়। হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন চোট পান। বিদ্যুৎ দফতর এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।”
এ দিন ঘটনার পর এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা। মৃত ও জখমদের পরিবারের পাশে আছি। কী ভাবে ঘটনা ঘটল, কার গাফিতলি খতিয়ে দেখা হবে।” বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে স্থানীয় বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy