Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ISF Activist Arrested

ভাঙড়ে গুলি, ধৃত আইএসএফ কর্মী

তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে চারটি গুলির খোল উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি আমবাগান থেকে ধরা পড়ে মইনুদ্দিন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:২৬
Share: Save:

তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে এক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালিয়ে পালাতে চেয়েছিল সে। তবে ধরা পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার পানাপুকুর গ্রাম থেকে ধরা পড়ে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি। তার কাছ থেকে একটি রিভলভার ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন মোল্লার আসবাবপত্রের দোকান আছে। অভিযোগ, সম্প্রতি জেল থেকে বাড়ি ফিরে মইনুদ্দিন এ দিন সাইফুদ্দিনের বাড়িতে চড়াও হয়। ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। সাইফুদ্দিন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে লক্ষ্য করে তাঁর বাড়ির দিকে বন্দুক তাক করে চার রাউন্ড গুলি চালায়। সাইফুদ্দিন পরে কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।

তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে চারটি গুলির খোল উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি আমবাগান থেকে ধরা পড়ে মইনুদ্দিন। সেখানেও পুলিশকে লক্ষ্য করে সে বোমা-গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। চারদিক ঘিরে ফেলে পুলিশ। পালাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়মইনুদ্দিন। তখনই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়ে যায়।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব ও গণনার দিন গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িত ছিল আইএসএফ কর্মী বলে পরিচিত মইনুদ্দিন। সে সময়ে গ্রেফতার হয়ে পড়ে জামিন পায়। গ্রেফতারের আগের দিন সাইফুদ্দিনের সঙ্গে তার গন্ডগোল বেধেছিল। মইনুদ্দিনের ধারণা ছিল, তাকে ধরিয়ে দেওয়ার পিছনে সাইফুদ্দিনের হাত আছে।

সাইফুদ্দিন বলেন, “আমার সঙ্গে মইনুদ্দিনের ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। দু’মাস আগে বাজার থেকে ফেরার সময়ে একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তারপরে অন্য একটি ঘটনায় সে গ্রেফতার হয়। ওর ধারণা, আমি নাকি পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে এসে টাকার চেয়েছিল। রাজি না হওয়ায় গুলি চালায়।”

এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড়ের মানুষ এখন বুঝতে পারছেন, কাকে তাঁরা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন। তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপরে গুলি চালানো হল। এই ঘটনাই আইএসএফের সন্ত্রাসের প্রমাণ।”

আইএসএফের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি।তবে এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তদন্ত করুক।”

অন্য বিষয়গুলি:

Bhangar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy