—প্রতীকী চিত্র।
পানিহাটিতে যুব তৃণমূল সভাপতির অফিস ভাঙচুর এবং তাঁর এক ঘনিষ্ঠ যুব নেতাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সোমবার উত্তাল হয়েছিল পানিহাটি। ঘটনার পরেই যুব তৃণমূল সভাপতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার অপর পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় এক যুবককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিশ।
পশ্চিম পানিহাটির যুব সভাপতি বুবাই মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই যুবকের নাম পরিতোষ দাস। পরিতোষ ও তাঁর দলবল গত ২১ জুলাই রাতে রাস্তা আটকে গাড়িতে তুলে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সভাপতি সুমিত পাল। পরের দিনই বুবাইয়ের অফিস ভাঙচুর করেন তৃণমূলেরই এক দল কর্মী-সমর্থক। বিধায়ক নির্মল ঘোষও অভিযোগ করেছিলেন, বুবাই বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত। তাঁর মদতেই সমাজবিরোধী পরিতোষ বিভিন্ন কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিধায়কের ঘনিষ্ঠেরাও। যদিও এক সময়ে বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বুবাইয়ের বক্তব্য ছিল, ‘‘এত দিন পরে কেন আমাকে সমাজবিরোধী বলে মনে হল? ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে তিনটি বাস নিয়ে যাওয়ার জন্য এই হামলা।’’
অন্য দিকে, পরিতোষ গ্রেফতার হওয়ার পরেই বুবাই সমাজমাধ্যমে একটি অডিয়ো ক্লিপ (আনন্দবাজার পত্রিকা সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ করেন। তাতে গত রবিবার রাতে পরিতোষ ও সুমিতের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। এক সময়ে তাঁদের পুরনো বন্ধুত্ব, বেড়াতে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া থেকে বোমাবাজি করা, কাউকে খুনের সুপারি দেওয়ার মতো আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এমনকি, পরিতোষ বার বার সব কিছু ভুলে একসঙ্গে থাকার কথাও বলছেন। আর মাঝেমধ্যে তাঁর জামার বোতাম কে ছিঁড়ল, তা নিয়ে সুমিতকে প্রশ্ন করতে শোনা গিয়েছে।
বুধবার বুবাই বলেন, ‘‘অডিয়োতেই স্পষ্ট, কারা কী চক্রান্ত করেছে।’’ পাল্টা সুমিতের দাবি, ‘‘পরিতোষ নিজেই কথা বলে যাচ্ছিল। আমাকে কথা বলতে দেয়নি। ওরাই আমাদের মারধর করেছিল।’’ যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি বুবাইয়ের মতোই পরিতোষেরও বিধায়ক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy