E-Paper

চাঁদার জুলুম, শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ

অভিযোগ, শনিবার জুম্মার নমাজের পরে জনা দশেক দুষ্কৃতী নিজেদের তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিয়ে কারখানার নিরাপত্তা রক্ষীদের ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকে।

কারখানায় ঢুকে শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে।

কারখানায় ঢুকে শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৯
Share
Save

ইদ উপলক্ষে মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। না দেওয়ায় পোশাক তৈরির কারখানায় ঢুকে শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলের নেতারা। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ-সহ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার দোগাছিয়া এলাকায়। পুলিশ ও কারখানা সূত্রের খবর, আহমেদ আলি মোল্লার কারখানায় তিনশোর বেশি শ্রমিক কাজ করেন। অভিযোগ, শনিবার জুম্মার নমাজের পরে জনা দশেক দুষ্কৃতী নিজেদের তৃণমূল কর্মী পরিচয় দিয়ে কারখানার নিরাপত্তা রক্ষীদের ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকে। ম্যানেজারের অফিসে গিয়ে ইদ উপলক্ষে মোটা টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

ম্যানেজার মাসুদ আহমেদ ওই পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রবি মণ্ডল ও আশিসকুমার দাস নামে দুই শ্রমিক তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁরাও প্রহৃত হন।

কারখানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে (তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা। পুলিশের অনুমান, তারা জানত সিসি ক্যামেরা আছে, সে কারণেই মুখ ঢেকে এসেছিল।

আহমেদ বলেন, ‘‘ইদের জন্য দু’লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। না দেওয়ায় ম্যানেজার-সহ তিন জনকে মারধর করেছে। এটা ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান, তিনশো শ্রমিকের সংসার এই কারখানার উপরে নির্ভরশীল। ওঁদের সেলাম না ঠুকলে এখানে ব্যবসা করতে দেবে না বলেছে। গেট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের অত্যাচার বেড়েছে। আমাদের পক্ষে এ সব সহ্য করা সম্ভব না। প্রয়োজনে কারখানা সরিয়ে নেব।’’

মাসুদ বলেন, ‘‘স্থানীয় চারটি ক্লাবের তরফে দু’লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল ওরা। দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করেছে, হুমকি দিয়েছে। আমরা দেগঙ্গা থানায় সিসি ক্যামেরার ছবি দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’ তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজেপি নেতা তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতাদের হাত দুষ্কৃতীদের মাথায় আছে বলেই পুলিশ-প্রশাসন ভয় পাচ্ছে ব্যবস্থা নিতে। ব্যবসায়ী মহল আতঙ্কিত।’’ তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, তৃণমূলের কেউ এতে জড়িত নয়। কেউ যদি দলের নাম করে জুলুমবাজি করে, দল খতিয়ে দেখবে। প্রশাসনকে বলা হবে, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Beating

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।