উদ্যোগ: নিকাশি সংস্কারের কাজ চলছে ডায়মন্ড হারবারে। ছবি: দিলীপ নস্কর।
বর্ষা এলেই জমা জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার পুর এলাকার বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বহু বছর ধরে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার না হওয়ার জেরেই বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। এর মধ্যে ২, ৩, ৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল কপাটহাট হয়ে লালপুল খালে গিয়ে পড়ত। কিন্তু সংস্কার ও নজরদারির অভাবে এই নিকাশি পথটি প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। কোথাও নিকাশি নালা জুড়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। কোথাও আবার নালা দখল করে বাড়ি-দোকান তৈরি হয়েছে। এর জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বর্ষায় জল জমছে ওই চারটি ওয়ার্ডে। পাশাপাশি জমা জলের সমস্যায় ভুগছেন সংলগ্ন হরিণডাঙা পঞ্চায়েত এলাকার মানুষও।
প্রভাব পড়ছে কৃষিকাজে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি নালা দখল করে যত্রতত্র বাড়ি-দোকান গজিয়ে ওঠায় নিকাশি পথ প্রায় বন্ধ। ফলে বৃষ্টি হলেই অলিগলির রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যায়। বর্ষাকাল জুড়েই জলে ডোবা রাস্তায় চলা ফেরা করতে হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা একাধিক নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রাজর্ষি দাস বলেন, “আমরা একাধিকবার নোটিস দিয়ে নিকাশি নালা দখল করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কেউ শোনেননি। বাধ্য হয়ে বেশ কিছু নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পুরসভার সাফাই কর্মীরা নালা সংস্কারের কাজও শুরু করেছেন। এলাকার জল যাতে নালার মাধ্যমে লালপুল খালে গিয়ে পড়ে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
বিধায়ক পান্নালাল হালদার জানান, ক’দিনের বৃষ্টিতে ওই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। বিষয়টি জানার পরেই মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা, মহকুমা পুলিশ অফিসার মিতুন দে ও আইসি গৌতম মিত্রকে নিয়ে বৈঠকে নালা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওখানে কোনও অনুমতি না নিয়েই নির্মাণ হয়েছিল। সেগুলি ভাঙা হচ্ছে। প্রায় ৮ ফুট চওড়া নালা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy