প্রতীকী ছবি।
বর্ষা পুরোদমে নামেনি। তার আগেই জেলার অন্যান্য পুরসভার মধ্যে ডেঙ্গিতে ‘প্রথম’ স্থান পানিহাটির!
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ওই পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৩৯ জন। শেষ এক সপ্তাহে আক্রান্ত ৬ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ২৪ জুন পর্যন্ত পানিহাটিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক! চলতি বছরের ওই তারিখে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭। যা দেখে চিন্তিত জেলা প্রশাসনের কর্তারা। উদ্বিগ্ন রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরও। কেন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে, তা দেখতে সোমবার পানিহাটিতে এসে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। তিনি জানান, এই সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ নিকাশির সমস্যা ও জঞ্জাল অপসারণের ঘাটতি। সাত দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা আবর্জনা, জমা জল সরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তার পরে ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘পুরোদমে বর্ষা নামলে কী হবে? এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে তো বিপদ বাড়বে।’’ রাজ্যে ফের করোনার প্রকোপ বাড়ছে। তার মধ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও মাথাচাড়া দিলে সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আগাম কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব পুরসভাগুলিকে জানানো হয়েছে। জল জমতে না দেওয়া, নিকাশির সংস্কার, বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষার মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘‘জঞ্জাল অপসারণের কাজ বাড়াতে হবে। তার জন্য তৃণমূল স্তরে পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। একটি বাড়ি থেকে আর একটি বাড়ি পর্যন্ত আবর্জনা কোন সাফাইকর্মী তুলবেন এবং কে সে সবের পরিদর্শক হবেন, এ সবের রূপরেখা করতে হবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ হিন্দ নগর, শক্তিপুর, নেতাজিনগর, ২৯ নম্বরের ঘোলা সি ব্লক, মিলনগড়, ক্ষুদিরামনগর, রামকৃষ্ণনগর, ২৮ নম্বরের ঘোলা এলাকা, ৩৪ নম্বরের রাজেন্দ্র পল্লি এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশির সমস্যা দ্রুত মেটাতে দক্ষিণ দমদম পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর এবং কেএমডিএ-র দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পানিহাটির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) হিমাংশু দেবের কথায়, ‘‘মূল নিকাশি নালা কামারহাটির মধ্যে গিয়েছে। এ দিকে কামারহাটির ভাগাড়ের সীমানা পাঁচিল দীর্ঘ দিন ভেঙে যাওয়ায় আবর্জনা পড়ে নিকাশি নালা বুজে যাচ্ছে। তাতেই অল্প বৃষ্টিতেও কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমছে।’’ তাঁর দাবি, জঞ্জাল জমে রয়েছে বলে চিহ্নিত ২০টি জায়গার চারটি মঙ্গলবার পরিষ্কার করা হয়েছে। সাত দিনের আগেই বাকিটাও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy