বিপদ: কয়েকদিন আগে এই গাছের ডাল ভেঙে জখম হন একজন ছবি: সামসুল হুদা
দিন কয়েক আগে গাইঘাটায় যশোর রোডের ধারে থাকা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। ঘটনার পরে বিপজ্জনক ডাল কাটার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান মানুষ। দাবি মেনে ডাল কাটার ব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এ বার বাসন্তী হাইওয়ের ধারে থাকা মরা গাছের ডাল কাটার দাবি উঠল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটকপুকুর, বড়ালিঘাট, বালিগাদা, পদ্মপুকুর, পাগলাহাট এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ের পাশে প্রায় ৩০-৪০টি মরা শিরীষ গাছ রয়েছে। অভিযোগ, প্রায়ই ওই সমস্ত গাছের শুকনো ডাল আচমকা ভেঙে পড়ে জখম হচ্ছেন পথচলতি মানুষ। ক’দিন আগে ঘটকপুকুর পেট্রল পাম্পের কাছে একটি গাছের শুকনো ডাল ভেঙে গুরুতর জখম হন একজন। লাউহাটি-হাড়োয়া রোডের উপরে ঢিবঢিবা বাজারের কাছেও ক’দিন আগে চলন্ত গাড়ির উপরে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ৫ জন জখম হন। ঘটনার পরে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভও দেখান।
বাসন্তী হাইওয়ের ধারে শতাধিক শিরীষ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৩০-৪০টি গাছ মারা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে মরা গাছের শুকনো ডাল ঝুলছে। এলাকার মানুষ মরা গাছ কেটে ফেলার দাবি জানাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদ্যুৎ মণ্ডল, সঞ্জয় দাস জানালেন, বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, বাসন্তী হাইওয়ের দু’পাশে যে সমস্ত গাছ রয়েছে, তা কাটার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। এমনিতে বাসন্তী রাজ্য সড়ক হাইওয়ে ডিভিশনের অধীন। তার উপরে বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বাগজোলা খাল। বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশের খালপাড় আবার সেচ দফতরের অধীন। গাছ কাটতে ক্ষেত্রে বন দফতরের অনুমতি লাগে। গাছ কাটার জন্য হাইওয়ে ডিভিশন দায় চাপাচ্ছে সেচ দফতরের উপরে। সেচ দফতর আবার দায় চাপাচ্ছে হাইওয়ে ডিভিশনের উপরে। ফলে প্রশাসনিক জটিলতায় বছরের পর বছর ধরে গাছগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। ঢিবঢিবা বাজারের কাছে ডাল ভেঙে ৫ জনের জখম হওয়ার ওই ঘটনার পরে ভাঙড় ১ বিডিও-র তরফে ঘটকপুকুর বাজারে গাছের কিছু শুকনো ডাল কেটে ফেলার ব্যবস্থা হয়েছিল। বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, “বাসন্তী রাজ্য সড়কের পাশে বেশ কিছু গাছ রয়েছে। যার শুকনো ডাল ভেঙে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাছগুলি যাতে দ্রুত কাটার ব্যবস্থা করা হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy